নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীবের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। গত মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) ভোর পৌনে ৪টায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে রাজীব। এরপর ওই দিন সকাল ৮টায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।
রাজীবের চিকিৎসায় গঠিত সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. মো. সামসুজ্জামান রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পাঁচদিনেও রাজীবের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা বলছেন, রাজীবের মস্তিষ্ক এখন কাজ করছে না। শুধু নিশ্বাস নিচ্ছে। তারা বলছেন, মেডিকেলের ভাষায় স্বাভাবিকভাবে একজন মানুষের গ্লাসগো কোমা স্কেল অর্থাৎ সজ্ঞানতার অবস্থা (জিসিএস) ১৪-১৫ থাকে। কিন্তু এটি যখন আটের নিচে নেমে আসে তখন রোগীর অবস্থাকে ক্রিটিক্যাল বলা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে রাজীবের জিসিএস অবস্থান এখন তিনের কোটায়। অর্থাৎ অাটের নিচে। যেটি ক্রিটিক্যাল বলে প্রমাণিত হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারের সার্ক ফোয়ারার কাছে বিআরটিসির একটি দ্বিতল বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতক দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন। বাসটি হোটেল সোনারগাঁওয়ের বিপরীতে পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে পৌঁছালে হঠাৎ পেছন থেকে স্বজন পরিবহনের একটি বাস বিআরটিসির বাসটিকে গা ঘেঁষে অতিক্রম করে।
এ সময় দুই বাসের প্রবল চাপে গাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা রাজীবের ডান হাত কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এতে তার মাথায়ও প্রচণ্ড আঘাত লাগে। দুর্ঘটনার পর তাকে প্রথমে শমরিতা হাসপাতালে ও পরে ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি