আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গত সপ্তাহে সিরিয়ার দোমায় রাসায়নিক হামলার অভিযোগ এনে মার্কিন নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী দেশটিতে হামলা শুরু করেছে। এ হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিত্র বাহিনী হিসেবে যোগ দিয়েছে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। ইতিমধ্যে দেশটির একাধিক সরকারি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই এ হামলার কথা জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের দাবি, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করতেই তারা এ হামলা চালাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, সিরিয়া সরকারের রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার বন্ধ করার লক্ষ্যে এই আঘাত হানা হচ্ছে। এই হামলা ততদিন পর্যন্ত চলবে যতদিন না পর্যন্ত আসাদ বাহিনী রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার বন্ধ না করবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, কিছুক্ষণ আগে আমি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীকে সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের রাসায়নিক হামলার সঙ্গে জড়িত স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালাবার আদেশ দিয়েছি।
রাসায়নিক হামলার জন্য আসাদকে দায়ী করে ট্রাম্প বলেছেন, এগুলো কোনো মানুষের কাজ নয়, একটি অসুরের করা অপরাধ। রাসায়নিক অস্ত্রের উৎপাদন, বিস্তার এবং ব্যবহারের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে বাধা দেওয়াই আজকে রাতে আমাদের নেওয়া সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য। সিরিয়াতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হওয়ার কথা জানতে পেরেছে গণমাধ্যমকর্মীরা। হোয়াইট হাউসে ধারণ করা ভিডিওচিত্রে ট্রাম্প নিজেই সিরিয়াতে হামলা চালানোর খবর জানিয়েছেন।
ট্রাম্প যখন বক্তব্যব রাখছিলেন তখন সিরিয়াতে বিস্ফোরণের শব্দ শুরু হয়ে গেছে। শনিবার ভোরে সিরিয়ার দামেস্কে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ হওয়ার কথা রয়টার্সকে তাদের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, রাজধানীর পূর্ব দিকে ধোয়ার কুণ্ডলীও দেখা গেছে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বাসার আল আসাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়া। রাসায়নিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা করা হতে পারে সিরিয়ায়, এমন বক্তব্যের জবাবে রাশিয়া বলেছিল, সিরিয়াতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলে রাশিয়া সেই ক্ষেপণাস্ত্রকে বিস্ফোরিত তো করে দেবেই, একই সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের স্থানেও পাল্টা হামলা চালাবে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বুধবার এক টুইটার বার্তায় লিখেছিলেন, ‘মিসাইল আসছে, তৈরি থেকো রাশিয়া।’ উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে আসাদ বাহিনীর রাসায়নিক হামলায় ৬০ জনের মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছিল। সূত্র: সিএনএন, বিবিসি, রয়টার্স
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি