নিজস্ব প্রতিবেদক:
কোনো গুজবে কান না দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। বুধবার দুপুরে আন্দোলনকারী সংগঠনের সমন্বয়ক হাসান আল মামুন এ কথা জনান।
তিনি বলেন, আমাদের দাবি অত্যন্ত স্পষ্ট। আমরা চাই, কোটা সংস্কারের ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে স্পষ্ট ঘোষণা আসুক। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
এর আগে আন্দোলনকারীরা আজ সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হন। সকাল ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শত শত শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হন। বেলা ১১টা পর্যন্ত বিভিন্ন হল থেকে মিছিল সেখানে আসে। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা পরে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য চত্বরের দিকে যান।
সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আন্দোলনের অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান।
মঙ্গলবার রাতে আন্দোলনকারী ছাত্রীদের নির্যাতনের অভিযোগে কবি সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিরস্থায়ী বহিষ্কারের আলটিমেটাম দেয়া হয়।
এ ছাড়া ঢাবির বিভিন্ন হলে আন্দোলনকারীদের মিছিলে না আসার জন্য যে হামলা-হুমকি দেয়া হচ্ছে, তার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। হামলাকারীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান রাশেদ খান। পাশাপাশি সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়কদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী কোটা বিলুপ্তির আশ্বাস দিয়েছেন।
সকালে গণভবনে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করলে প্রধানমন্ত্রী তাদের একথা জানান বলে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক টেলিফোনে সাংবাদকিদের নিশ্চিত করছেন।
তবে প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য ছাড়া এবং ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ‘ এর কোন নির্দেশনা ছাড়া অবরোধ চলবে বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, কোটা নিয়ে আজ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বক্তব্য দিতে পারেন বলেও জানা গেছে।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ