২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৯:৪৪

আজও সড়ক অবরোধ করবেন আন্দোলনকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঢাবি ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে যান চলাচল আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে সারাদেশে আবারও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও সড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টায় দিনের কর্মসূচি স্থগিত করেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে সন্ত্রাসবিরোধী ও রাজু ভাস্কর্যের সামনের অবস্থান থেকে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এ ঘোষণা দেয়।

এ ঘোষণা দিয়ে পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। দিনের কর্মসূচি সমাপ্তি ঘোষণার পর টিএসসি সংলগ্ন এলাকা থেকে আস্তে আস্তে সরে যেতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। রাত সাড়ে ৮টার পর সড়কটি দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু হয়।

রাতের কর্মসূচি সমাপ্তির আগে আন্দোলনকারীদের অবস্থানবেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, আজকের মতোই কাল সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সড়কে নেমে আন্দোলন করবেন তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই কর্মসূচি পালন করবেন তারা। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন সড়ক অবরোধের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনে সবাইকে অহিংস এবং ষড়যন্ত্রকারীরা যাতে কোনোভাবে আন্দোলন বানচাল করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানানো হয়েছে।

পরে রাত ৮টার পর আজকের মতো কর্মসূচি স্থগিত করে আগামীকাল বুধবার আবারও সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। রাজপথে ১৯ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে মঙ্গলবার অংশ নিয়েছিলেন রাজধানীর ১৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

গতকাল মঙ্গলবার সরাসরি রাস্তায় ও ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্স, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অফ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি, প্রাইম ইউনিভার্সিটি, রয়েল ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। এছাড়া, চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছেন।

গতকাল সকাল ১০টা থেকে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় মানববন্ধনের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু করেন। এরপর দুপুরে তারা সড়কে অবস্থান নিলে রাজধানীর নর্দা, রামপুরা, বাড্ডা, মালিবাগ ও মিরপুর রোডে গাড়ি চলাচল বন্ধ হতে থাকে। বেলা দেড়টায় মালিবাগ থেকে কুড়িল বিশ্বরোডের মাথা পর্যন্ত পুরো রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকাল সাড়ে ৪টার পর শিক্ষার্থীরা একে একে অবরোধ তুলে নিতে শুরু করলে যান চলাচল শুরু হয়। তবে সড়কের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সন্ধ্যা পার হয়ে যায়।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :এপ্রিল ১১, ২০১৮ ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ