নিজস্ব প্রতিবেদক:
টিসিবি’র পণ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরিদ্র ভোক্তারা। তারা উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে সোমবারসহ গত দুই দিন ধরে হর্ণ্যে হয়ে খুঁজছিলেন টিসিবি’র ডিলারকে। স্বল্প মূল্যে পণ্য পাওয়ার আশায় ভোক্তারা রোজা থেকে দিনভর খুঁজেও ডিলারের দেখা পাননি। ফলে স্বল্প মূল্যের টিসিবির পণ্য তাদের ভাগ্যে জোটেনি।
উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ছোট সাতাইল বাতাইল গ্রামের বাসিন্দা আফছার আলী জানান, তিনি বিভিন্ন মিডিয়াতে দেখেছেন, সরকার রমজান মাস উপলক্ষে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য টিসিবির ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন। সরকারের বেঁধে দেওয়া স্বল্প মূল্যে চিনি ও সয়াবিন তৈলসহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী তারা বিক্রি করবেন। মিডিয়ার এ খবরে উৎসাহিত হয়ে তিনি ডিলারকে খুঁজে না পেয়ে হতভম্ব হয়ে পড়েন। পুরো উপজেলা খোঁজ নিয়েও একজন ডিলারের সঙ্গে সাক্ষাত মেলেনি তার।
একই ইউনিয়নের সোহাগী গ্রামের কৃষক এনামুল হক বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী কমদামে পাওয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বরের কাছে খোঁজ নিয়েছি। কিন্তু তিনি এ প্রসঙ্গে কিছুই বলতে পারেননি।
উপজেলার ফুটানী বাজার এলাকার বাসিন্দা আশরাফ আলী বলেন, টেলিভিশনে দেখেছি হাট-বাজারের চেয়ে কম দামে সয়াবিন তৈল ও চিনিসহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী ডিলারের মাধ্যমে দিচ্ছেন সরকার। আমরা গরীব মানুষ। বেশি দামে কেনার সামর্থ্য নেই, তাই ডিলারকে খুঁজছি। কিন্তু দেখা পাইনি।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল আহাদকে বেশ কয়েকবার মোবাইল ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে গাইবান্ধা জেলা খাদ্য কর্মকর্তা আমজাত হোসেন জানান, টিসিবির ঘটনা আমাদের দেখার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেখবেন।
এ প্রসঙ্গে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল হান্নান জানান, এ উপজেলায় টিসিবির ডিলার আছেন কি নাই তার জানা নেই। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক (ডিসি) গৌতম চন্দ্র পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে টিসিবির সঙ্গে কথা না বলা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে এ বিষয়ে আগামী কাল টিসিবির সঙ্গে কথা বলা হবে।
জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র আরো জানান, ওই এলাকায় যদি টিসিবির ডিলার না থাকে, তাহলে উপজেলার দরিদ্র ভোক্তাদের কথা বিবেচনা করে একজন ডিলার নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক দেশজনতা/ এমএইচ