নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাষ্ট্রায়ত্ব অগ্রণী ব্যাংকেরর বিরুদ্ধে ৪০ কোটি ৯৪ লাখ ৩৫ হাজার ৪১৩ টাকা আবগারী শুল্ক ও ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফাঁকি দেওয়া এ বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) দাবিনামা জারি করেছে। গত ৮ এপ্রিল দাবিনামা অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর পাঠানো হয়েছে। সোমবার এলটিইউ ভ্যাট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এলটিইউ ভ্যাট কমিশনার মতিউর রহমান বলেন, আবগারি শুল্ক ও ভ্যাটের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে দুইটি দাবিনামা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন আমরা তাদের বক্তব্য শুনে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবো।
এলটিইউ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানটিতে ৫ সদস্যের একটি পরিদর্শন করে ভ্যাট কর্তৃপক্ষ। পরিদর্শন কালে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর ও ২০১৮ সালের কর মেয়াদের হিসাব প্রতিবেদন সংগ্রহ করা হয়। যা পর্যালোচনা শেষে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে আবগারি শুল্কবাবদ ৫৪ কোটি ৪৯ লাখ ৮৭ হাজার ৮৮৪ টাকা পাওনা হয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ৫৩ কোটি ৪৯ লাখ ১৫ হাজার ৪১১ টাকা পরিশোধ করেন।
অর্থ্যাৎ ওই মেয়াদে বকেয়া আবগারি শুল্কের পরিমাণ ১ কোটি ৭২ হাজার ৪৭৩ টাকা। এছাড়া ২০১৮ সালের জানুয়ারি কর মেয়াদে পরিশোধযোগ্য আবগারী শুল্ক পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৪ কোটি ৫৬ লাখ ৫৬ হাজার ৬৬৫ টাকা। অর্থ্যাৎ অগ্রণী ব্যাংকের কাছে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত পরিশোদযোগ্য আবগারি শুল্কের পরিমাণ ৩৫ কোটি ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ২৮ টাকা।
এছাড়া এলটিইউর পরিদর্শনে ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৬ হাজার ৩৮৫ টাকা টাকা বকেয়া ভ্যাটের প্রমাণ পায় বৃহৎ করাদাতা ইউনিট।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ