আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিয়ানমার থেকে যেভাবে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে বিতাড়িত করা হচ্ছে, তা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আওতায় পড়বে কিনা, তা জানতে চেয়েছেন আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ফাতোও বেনসোউদা। এ বিষয়ে একটি রুল চেয়ে গতকাল সোমবার হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। -খবর বিবিসি অনলাইন।
আবেদনে বলা হয়েছে, জোর করে কোনো দেশের বাসিন্দাদের আন্তর্জাতিক সীমানার বাইরে ঠেলে দেয়া সব দিক থেকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের মধ্যে পড়ে। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার একে জাতিগত নিধন অভিযানের জ্বলন্ত উদাহরণ বলে বর্ণনা করেছেন এবং মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত একে গণহত্যার সব চিহ্ন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, তাও উল্লেখ করা হয়েছে আবেদনে। তিনি বলেন, কিন্তু এখানে আদালতের আওতা নিয়ে কিছুটা দ্বিধা রয়েছে। কারণ বাংলাদেশ এই আদালতের সদস্য, কিন্তু মিয়ানমার সদস্য নয়।
বেনসৌদা তার আবেদনে বলেন, তারপরও আদালত এই বিষয়টিকে আওতাভুক্ত হিসাবে বিবেচনা করতে পারে। যেহেতু আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে অপরাধটি ঘটছে এবং আদালতের সদস্য বাংলাদেশের ভূখণ্ড তার শিকার হচ্ছে। এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আওতায় পড়লে কৌঁসুলির দফতর তদন্ত করে অভিযোগ আনতে পারবে।
গত বছরের আগস্টে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর অভিযান শুরুর পর সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা ঘরবাড়ি ফেলে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অনেকেই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যা, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া, লুটপাট, অপহরণ আর ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

