নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ ভোর ৬টার দিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল থেকে আন্দোলনরত ছাত্রদের উপর হামলা চালানো হয়। মিছিলটি শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি কার্জন হলের দিকে যায়। মিছিলে থাকা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে লাঠি, রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দেখা গেছে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনসহ প্রায় তিনশ নেতাকর্মী রয়েছেন মিছিলে।
ভোর ৬টার দিকে ছাত্রলীগের মিছিলটি শহীদুল্লাহ হলের সামনে পৌছালে সেখানে অবস্থানরত আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আবারও থেমে থেমে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
এর আগে, রবিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা শাহবাগে অবস্থান নেন। রাত পৌনে ৮টার দিকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও টিএসসি এলাকায়। পরে তারা ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা উপাচার্যের বাসভবনের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং ভেতরে থাকা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। আশপাশের কয়েকটি মোটরসাইকেলেও তারা আগুন দেন।
পরে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এসে সোমবার সকালে সরকারের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠকের আহ্বান জানান। ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তার সঙ্গেই ছিলেন। এ সময় টিএসসি ও কার্জন হল এলাকায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ভোর ৫টার দিকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছিল কার্জন হল ও শহীদুল্লাহ হল এলাকায়।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ