গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :
গোপালগঞ্জে কলেজছাত্র নিহতের জের ধরে বাস পোড়ানোর প্রতিবাদে ও মহাসড়ক দিয়ে অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে জেলা বাস মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
আজ সোমবার ভোর ৬টা থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে ঢাকা, খুলনা, মাদারীপুর, বরিশালসহ দূরপাল্লা ও জেলার অভ্যন্তরীণ রুটে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। ফলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক এক রকম ফাঁকা হয়ে পড়েছে। ধর্মঘটের ফলে এ সকল রুট দিয়ে চলাচলরত সাধারণ যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। ইজিবাইক, ভ্যান-রিকশা অথবা পায়ে হেঁটে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে তাদের। অনেকই আবার গন্তব্যে যেতে না পেরে ফিরে গেছেন।
প্রসঙ্গত, রোববার সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের সদর উপজেলার গোপিনাথপুর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে পড়ে পলিটেকনিকের এক শিক্ষার্থীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেন উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা।
পরে সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইনস বাসস্ট্যান্ডে জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান লিটন, সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাসু শেখ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে বক্তরা অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়ে বলেন, মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচলের কারণে প্রতিনিয়ন দুর্ঘটনা ঘটছে। বিগত কয়েক মাস ধরে বাসে আগুন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসন কোনো মামলা নিচ্ছে না। অবৈধ যান চলাচল বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত জেলার সকল রুটে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলবে। সেই সাথে আগামী তিন দিনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার সমিতিকে চিঠি দিয়ে ধর্মঘটে আনা হবে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি