নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠনকে ‘লোক দেখানো’ বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি হলে এর দায় সরকারকে নিতে হবে। তাঁকে কারাগারে যেভাবে রাখা হয়েছে তাতে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ করেন মওদুদ।
মওদুদ বলেন, ‘এখন কাকে দরকার? যারা ১০-২০ বছর ধরে তাকে চিকিৎসা দিয়ে সেবা করেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন তাদের। সেই চিকিৎসকই জানতে পারবে কীভাবে রোগীর চিকিৎসা করা যায়। হঠাৎ করে নতুন একজন চিকিৎসক আনবেন এটাতে লাভ হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আজকে দুই মাসের উপরে হয়ে গেছে বেগম খালেদা জিয়া জেলখানায় আছেন। আমরা যখন তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম বিএনপি চেয়ারপারসন নিজেই আমাদের বলেছেন- তিনি মোটামুটি ভালোই আছেন। তবে তার ব্যথাটা একটু বেড়েছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ শনিবার কারাগার থেকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এ উপলক্ষে হাসপাতালের সামনে বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতা মওদুদ আহমদ ও মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ শতাধিক কর্মীকে দেখা যায়। সেখানেই মওদুদ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এ ছাড়া তাঁর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মরহুম ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি ও তাঁর দুই মেয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আছে।
মওদুদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ভার সরকারে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তাঁকে মুক্ত দিলে তিনি নিজেই নিজের চিকৎসা করাতে পারবেন। তিনি যে সত্যিকারের অসুস্থ আজকের এ অবস্থায় তা প্রমাণিত হয়েছে। তাঁকে হাটিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হবে; কেননা তাঁর হাঁটুতে ব্যাথা। কী কারনে তাঁর পরীক্ষা করা হচ্ছে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানেন না উল্লেখ করে তিনি অনতিবিলম্বে খালেদা জিয়া মুক্তি দাবি করেন।
মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য সরকার যে বোর্ড গঠন করেছে সেখানে সরকারের চিকিৎসকদের পাশাপাশি বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক নিউরোমেডিসিনের ওয়াহিদুজ্জামান ও মেডিসিনের এফ এম সিদ্দীকীসহ কয়েকজন আছেন।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ