২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১০:১৭

কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের জন্মদিন আজ

বিনোদন ডেস্ক:

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি ও পাবনার মেয়ে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের ৮৬ তম জন্ম দিন আজ। তিনি ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল বাংলাদেশের পাবনা শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। পাবনা পৌর এলাকার গোপালপুরের হেমসাগর লেনের বাড়িতে তার শৈশব ও কৈশোর কাটে। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় সুচিত্রা সেন সপরিবারে ভারত চলে যান।

সুচিত্রা সেন ছিলেন পরিবারের পঞ্চম সন্তান ও তৃতীয় কন্যা। বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। সুচিত্রা সেনের আরো একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি কবি রজনীকান্ত সেনের নাতনী।

সুচিত্রা সেনের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা সিনেমা ‘সাত নম্বর কয়েদি’। মুক্তি পায় ১৯৫৩ সালে। প্রথম হিন্দি সিনেমা ‘দেবদাস’ মুক্তি পায় ১৯৫৫ সালে। উত্তম কুমারের সঙ্গে প্রথম চলচ্চিত্র ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ (১৯৫৩)। শেষ বাংলা সিনেমা ‘প্রণয় পাশা’ মুক্তি পায় ১৯৭৮ সালে। সে বছরই সিনেমা থেকে অবসর নেন এই স্বপ্নের নায়িকা। একইসঙ্গে তিনি চলে যান লোকচক্ষুর অন্তরালে।

চলচ্চিত্র থেকে বিদায় নেওয়ার পর আর তিনি জনসমক্ষে আসেননি। ১৯৮৯ সালে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ভরত মহারাজের মৃত্যুর পর তিনি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মঠে এসেছিলেন। মহানায়িকা সুচিত্রা সেন আজীবন দুই বাংলার মানুষের মাঝে যোগসূত্র হয়েই বিরাজ করেছেন। কলকাতার ছবিতে অভিনয় করলেও এই সুচিত্রা সেন হয়ে উঠেছিলেন অবিভক্ত বাংলার নায়িকা।

২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সুচিত্রা সেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

এদিকে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের জন্মদিন উপলক্ষে পাবনা জেলা প্রশাসন, সুচিত্রা সেন চলচ্চিত্র সংসদ, পাবনা ড্রামা সার্কেলসহ বিভিন্ন সংগঠন দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

এছাড়া পাবনা শহরের গোপালপুরের মহল্লায় নিজ কার্যালয়ে কেক কাটা ও স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে মহানায়িকার জন্মদিন উদযাপন করেছে সুচিত্রা সেন চলচ্চিত্র সংসদ ও পাবনা ড্রামা সার্কেল। এ সময় বক্তব্য দেন সুচিত্রা সেন চলচ্চিত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ও যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম মনি।

পাবনা ড্রামা সার্কেলে মহানায়িকার জন্মদিন নিয়ে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ফারুক হোসেন চৌধুরী ও মুস্তাফিজুর রহমান রাসেল। মহানায়িকার শৈশব-কৈশোরের সাক্ষী পাবনার পৈতৃক বাড়িকে একটি পূর্ণাঙ্গ ফিল্ম ইনস্টিটিউট হিসেবে গড়ে তোলার দাবি জানান বক্তারা।

দৈনিক দেশজনতা /এন আর

 

 

প্রকাশ :এপ্রিল ৬, ২০১৮ ৭:০৬ অপরাহ্ণ