নিজস্ব প্রতিবেদক :
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আগামী ২২ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন।
এর আগে ২৮ মার্চ ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার জামিন বৃদ্ধি করেন।
এদিন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে হাজির না করায় দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, আজ মামলাটির অন্য আসামিদের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। কোনো কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়নি। তাই একটা তারিখ রাখেন তাকে আদালতে উপস্থিত করার জন্য।
অপরদিকে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন বৃদ্ধির আবেদন করে আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) এই মামলায় আজ পর্যন্ত জামিনে রয়েছেন। তাই তার জামিন বৃদ্ধি করা হোক। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার জামিন বৃদ্ধি করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে বেগম খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। এ মামলায় অন্য আসামি বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায়ের পর বেগম খালেদা জিয়াকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই বন্দি রয়েছেন তিনি।
১২ মার্চ বেগম খালেদা জিয়ার চার মাসের অন্তবর্তী জামিন মঞ্জুর করেন উচ্চ আদালত। ১৯ মার্চ আপিল বিভাগ ৮ মে পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত করেন। এরপর আদালত আপিল নিশাপতি না হওয়া পর্যন্ত খালেদার জামিন স্থগিত করেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ