নিজস্ব প্রতিবেদক :
রোজায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং স্বল্প আয়ের মানুষদের ন্যায্যমূল্যে খাদ্য পণ্য সরবরাহ করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। মসুর ডাল, চিনি, তেল, খেজুর ও ছোলা এই পাঁচটি পণ্য ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করবে রাষ্ট্রীয় এ সংস্থাটি। সব মিলিয়ে খোলাবাজারে ৭ হাজার ১০০ টন পণ্য বিক্রি করবে তারা।
টিসিবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিবছরের মতোই এ বছরও রোজার ৭ থেকে ১০ দিন আগে সারা দেশে ট্রাকে করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পাঁচটি পণ্য ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হবে।
টিসিবি জানায়, এসব পণ্য সারা দেশে টিসিবির নির্ধারিত বিক্রয়কেন্দ্র, ডিলার ও খোলাবাজারে ট্রাকসেলে পাওয়া যাবে। এ বছর রোজায় ১৮৭টি ট্রাকসেলের ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছে টিসিবি। এর মধ্যে রাজধানীতে ৩৫টি, চট্টগ্রামে ১০টি, অন্যান্য বিভাগীয় শহরে ৫টি এবং প্রতিটি জেলায় ২টি করে ট্রাকসেল থাকবে। এছাড়া সারা দেশে টিসিবির নিয়মিত ২ হাজার ৭৮৪ জন ডিলার রয়েছে। এসব মাধ্যমে পণ্য পাওয়া যাবে। গত রোজায় ৫৫ টাকা কেজিতে চিনি, ৮০ টাকায় মসুর ডাল, সয়াবিন তেল ৮৫ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা এবং খেজুর ১২০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়েছে।
গত রোজায় এসব পণ্যের মধ্যে খেজুর নিয়ে সমস্যা তৈরি হলেও অন্য পণ্যগুলো সঠিকভাবে সরবরাহ করে টিসিবি। তারপর খোলাবাজার থেকে খেজুর কিনে বিক্রি শুরুর ১০-১২ দিন পর থেকে খেজুর দিতে পেরেছিল সংস্থাটি। তবে এ বছর কোনো সংকট বা সমস্যা তৈরি হবে না বলে জানিয়েছে টিসিবি।
টিসিবির তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, টিসিবি পণ্য বিক্রির সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারিত পণ্যের বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা হবে। রোজা শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকে নির্ধারিত দামে ঢাকাসহ সারা দেশে বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে বিক্রি শুরু হবে।
তিনি বলেন, গত বছর একজন ক্রেতা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৪ কেজি চিনি, ৩ কেজি মসুর ডাল, ৫ লিটার সয়াবিন, ৫ কেজি ছোলা এবং ১ কেজি খেজুর ক্রয়ের সুযোগ পেয়েছে। এ বছর এখন পর্যন্ত এর পরিমাণ নির্ধারণ করতে পারেনি টিসিবি।
তবে রোজায় বিক্রি শুরু হওয়ার ৪-৫ দিন আগে এটি নির্ধারণ করা হবে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ