নিজস্ব প্রতিবেদক:
এবার সৌদি আরবে দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হলেন ৫৬ জন বাংলাদেশি। রিয়াদের একটি মসজিদে এই ৫৬ বাংলাদেশির করুণ অবস্থা দেখা গেছে। যারা এখন ওই মসজিদেটিতেই বেশি সময় ধরে অবস্থান করছে ।
জানা গেছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সৌদি আরব যান ভুক্তভোগী ওই ৫৬ বাংলাদেশি। দেশের বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির ধোঁকার শিকার হয়েছেন তারা। সেখানে তাদের কাজ তো মিলছেই না। এখন ঠিকমতো তিনবেলা খাবারও জুটছে না। রাতে তাদের ঘুমাতে হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে।
ভুক্তভোগীরা ভিসা নিয়েছে বাংলাদেশি দালালদের কাছ থেকে। আবার অনেকে ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমেও এসেছে। ভিসার সাথে কাজের কোনো মিল না থাকায় বিপাকে পড়েছেন তারা। ভিসায় বলা হয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির কথা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ভুয়া কোম্পানির নামে তাদের আনা হয়েছে। সৌদিতে এসে এসব কোম্পানির খোঁজও মিলছে না। ফাঁকে ফাঁকে করতে হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এসব বাংলাদেশি রিয়াদের একটি মসজিদে শুয়ে বসে সময় কাটাচ্ছেন। প্রবাসী বাংলাদেশিরাই তাদের খাবার সরবরাহ করছেন। বেশিরভাগ সময় তারা না খেয়েই দিন পার করছেন। ৫৬ জনের মধ্যে কেউ এসেছেন এক মাস আগে আবার কেউবা দুই মাস আগে।
তবে এসব বাংলাদেশি তাদের নাম-পরিচয় না প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ করেছেন। কারণ পরিবারের লোকজন জানলে কষ্ট পাবেন, চিন্তায় পড়বেন এজন্য বাংলাদেশি এসব হতভাগ্য শ্রমিক তাদের নাম প্রকাশে অনিহা জানান।
ভুক্তভোগীদের কেউ কেউ বলেন, ‘দালালের মিথ্যা প্রলোভনে এত বড় সর্বনাশ হয়েছে। কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকা সুদের ওপর নিয়ে বিদেশ আসেন। আবার কেউ ভিটেমাটি বন্দক রেখেও এসেছেন। এ অবস্থায় দেশে গেলে টাকা ফেরত দেবো কোথায় থেকে।’
তারা আরো বলেন, ‘সম্প্রতি সৌদি আরবের আবহাওয়া তেমন ভালো না। চারদিকে খুব ধুলাবালি উড়ছে। এছাড়া আরবি ভাষাও খুব একটা বুঝতে না পারায় সমস্যাটা আরো বেশি তাদের।’
এ বিপদ থেকে তারা মুক্তি চান বলে জানান।
দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর সারোয়ার আলম এ বিষয়ে অবগত হওয়ার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
যে সকল ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে এই ৫৬ বাংলাদেশি সৌদি আরবে যান সেগুলো হলো মেধা এন্টারপ্রাইস, আমদা এবং ফালা ইন্টারন্যাশনাল বলে জানান ভুক্তভোগীরা। সূত্র: ইউএনবি
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ