নিজস্ব প্রতিবেদক:
গতকাল শুক্রবার বিকালের মতো শিলাবৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়া আরও দুই দিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামী সোমবার নাগাদ আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানিয়েছে তারা। মৌসুমের প্রথম শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় শুক্রবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় ফসল ও সম্পদের পাশাপাশি বেশ কিছু প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। বোরো ধান পাকার আগে আগে এই ধরনের ঝড় নিয়ে কৃষকরা বরাবরই ফসলের ক্ষতি নিয়ে উদ্বেগে থাকেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, আজও দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে ঝড় হাওয়া বয়ে যেতে পারে। আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতির মুখে দেশের সব নৌ-বন্দরকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আাগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে দেশের অভ্যন্তরীণ নদী বন্দরসমূহের রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কাথাও বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তার আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এছাড়াও দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি ও বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। আজকের ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩২.৫ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
শুক্রবার সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে, সর্বোচ্চ ২৩ মিলিমিটার। এছাড়াও কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ১৯ মিলিমিটার, নেত্রকোণায় ১৭ মিলিমিটার, নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১৪ মিলিমিটার, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৯ মিলিমিটার, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবারের শিলা বৃষ্টিতে উত্তরাঞ্চলের বেশকয়েকটি উপজেলার হাজার হাজার একর জমির গম, ভুট্টা, বোরো ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসল এবং আম ও লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে শত শত ঘর-বাড়িরও ক্ষয়ক্ষতি হয়। ফুটো হয়ে গেছে অসংখ্য ঘরের টিন।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রংপুর, লালমনির হাট, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, ময়মনসিংহ, ফরিদপুরসহ কয়েকটি জেলায় এই ঝড়ো হওয়ার গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। গতকাল শুক্রবার দুপুরের পর থেকে রাজধানীর কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টিপাত হলেও বিকেল সাড়ে চারটার পরে চারদিকে অন্ধকার করে নেমে আসে বৃষ্টি।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি