নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশে সব ধরনের কোচিং সেন্টারই বে আইনি বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ বলেন, সব ধরনের কোচিং সেন্টারই বে আইনি। আমরা হয়তো আইন প্রয়োগ করে নিজেরা বন্ধ করতে পারি না, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বন্ধ করে। কোনো ধরনের কোচিং সেন্টারই আইনগত অ্যালাউড না।
তিনি বলেন, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা সামনে রেখে ২৯ মার্চ থেকে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি তদারকি করবে।
প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে সিলগালাসহ সিকিউরিটি কোডের মাধ্যমে ডাবল প্যাকেটে করে প্রশ্ন কেন্দ্রে পাঠানো হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে কেন্দ্রীয়ভাবে লটারির মাধ্যমে প্রশ্ন সেট নির্ধারণ করে সব বোর্ডে অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে একাধিক প্রশ্নের সেট পৌঁছে দেয়া হবে।
নাহিদ আরও বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে এবার কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ মোবাইলসহ কোনো ধরনের ডিভাইস সঙ্গে নিতে পারবে না। যদি কারও কাছে এ ধরনের ডিভাইস পাওয়া যায়, তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, এবার সারা দেশে ১০টি শিক্ষা বোর্ডে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় এক লাখ ২৭ হাজার ৭৭১ পরীক্ষার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে ছেলেদের সংখ্যা ছয় লাখ ৯২ হাজার ৭৩০ জন এবং মেয়েদের সংখ্যা ছয় লাখ ১৮ হাজার ৭২৮ জন।
তবে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় সারা দেশে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা কমে গেছে। এবার মোট দুই হাজার ৫৪১ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, যা গত বছরের তুলনায় ৪৪টি কমেছে। এ ছাড়া বিদেশি সাতটি কেন্দ্রে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৯৯ জন।
উল্লেখ্য, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আগামী ২ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৩ মে পর্যন্ত।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর