নিজস্ব প্রতিবেদক:
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে চার থেকে পাঁচ ফুট বেশি উচুঁ জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করতে ২৯ মে সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলীয় এলাকার মানুষকে নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
২৯ মে সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব গোলাম মোস্তফা।
তিনি বলেন, উপকূলীয় এলাকায় সরকারের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৫৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ভোলা, পটুয়াখালীসহ বাগেরহাট ও খুলনা জেলার কিছু অংশে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে। ওই এলাকাগুলোতে প্রস্তুত আছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ মজুদ করা হয়েছে।
এ ছাড়া উপকূলীয় এলাকার আশ্রয়কেন্দ্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্থানীয় অধিবাসীদের তাদের গবাদিপশুসহ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের তথ্য আদান-প্রদানের জন্য মন্ত্রণালয়ে একটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে এমন একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য ৯৫৪০৪৫৪, ৯৫৪৫১১৫, ৯৫৪৯১১৬, ০৭১৫১৮০১৯২, ০১৯১১৩৮৭৭২৩ নম্বরগুলোতে যোগাযোগ করা যাবে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএম