নিজস্ব প্রতিবেদক:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক লালন শাহ হলে অভিযান চালিয়ে চাপাতি ও ফেনসিডেলসহ এক বহিরাগত মাদকসেবীকে আটক করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি নিয়ন্ত্রিত লালন শাহ হলের ১২৮নং কক্ষ থেকে প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান এসব মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেন।
এ ঘটনার জের ধরে ক্যাম্পাসে তিন ঘণ্টাব্যাপী প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে মিছিল, ভাংচুর ও ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায় ছাত্রলীগ কর্মীরা। ক্যাম্পাস অভ্যান্তরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, ক্যাফেটেরিয়া, নির্মানাধীন রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবনসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থাপনায় ভাংচুর চালায় তারা। এছাড়া বিভিন্ন স্থাপনার বেশ কয়েকটি সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। এ ঘটনায় গোটা ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশেষ অভিযানে সন্ধ্যা ৬টার দিকে লালন শাহ হলের ১২৮নং কক্ষ থেকে সভাপতির কর্মী ও বহিরাগত দানিয়েল এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আকাশ এবং বহিরাগত রফিকুলকে আটক করেন প্রক্টর ড. মাহবুবর রহমান। এসময় তার সঙ্গে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য এবং আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কক্ষটি থেকে চারটি চাপাতি, ১১ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়। পরে তাদেরকে ইবি থানায় সোপর্দ করা হয়।
আটকের পর লালন শাহ হল থেকে প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মী প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে লাঠি নিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় তারা পুরো ক্যাম্পাসে ভাংচুর চালায়। এতে ডায়না চত্বর ও আশেপাশে বিভিন্ন স্থাপনা, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, সিসি ক্যামেরা, ক্যাফেটেরিয়ার জানালার গ্লাস এবং রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনে ভাংচুর চালায়। মিছিলে পর পর প্রায় ডজন দুয়েক ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটে। ঘটনার পর থেকে পুরো ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা ওই কক্ষে অভিযান চালিয়েছি। দানিয়েল নামের এক বহিরাগতকে ব্যাগভর্তি মাদক ও বিভিন্ন সরঞ্জামসহ হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। রফিকুল নামে এক বহিরাগত পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে ইবি থানার ওসি বলেন, ফেনসিডেল এবং চাপাতিসহ একজনকে থানায় আটক করে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি