নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামে যুবলীগ কর্মী মহিউদ্দিন মহিদকে হত্যার ঘটনায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন নিহতের মা নূর নেছার বেগম। মামলায় আসামি করা হয়েছে হাজী ইকবাল নামে একজনকে। তার ভাই মুরাদকেও আসামির তালিকায় রাখা হয়েছে।
স্বাধীনতা দিবসে সোমবার বন্দরনগরীর মেহের আফজল উচ্চ বিদ্যালয়ে এক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে বৈঠক চলাকালে মহিউদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পরিবারের দাবি, হাজী ইকবালের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল গিয়ে মহিউদ্দিনকে খুন করে মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে করে পালিয়ে যায়।
বছরখানেক আগেও হাজী ইকবাল মেহের আফজল স্কুলের এক শিক্ষকে ছুরিকাঘাত করেছিলেন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। সে সময় মহিউদ্দিন ওই স্কুল শিক্ষকের পক্ষ নেয়ায় হাজী ইকবালের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়। সেই বিরোধের জেরে মহিউদ্দিন খুন হয়েছেন বলে ধারণা স্থানীয়দের।
বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিকাশ সরকার জানান, মহিউদ্দিনের মা নূর নেছার বেগম মঙ্গলবার সকালে এ হত্যা মামলা করেন।
মামলার আগে সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে মুছা ও তানভীর নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে প্রধান আসামি ও তার সহযোগীরা আগেই পালিয়ে গেছেন।
মহিউদ্দিন মহিদ চট্টগ্রাম মহানগরের ৩৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য ছিলেন। তিনি নগরীর দক্ষিণ-মধ্যম হালিশহর এলাকার আবু ইব্রাহিমের ছেলে।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর