নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে যমুনা নদী তীর সংরক্ষণ বাঁধে আবারো ধস নেমেছে। মঙ্গলবার ভোরে চৌহালী উপজেলার খাসকাউলিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে এ ধস দেখা দেয়। মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বাঁধটির প্রায় ৩০ মিটার অংশ ধসে নদীগর্ভে বিলীন হয়। শুষ্ক মৌসুমে এমন ধসে এলাকাবাসী আতঙ্কে রয়েছে। আকস্মিক এ ধসে এলাকাজুড়ে সবার মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়।
খাস কাউলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদ হোসেন জানান, ২০১৫ সালে যমুনা নদীর ভাঙন থেকে টাঙ্গাইলের নাগরপুর ও চৌহালী রক্ষায় ১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ কাজ শুরু হয়। বাঁধটির প্রায় ৯৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ অবস্থায় চলতি বছর ২ মে প্রথম ধস নামে। এরপর ১৬ মে, ৮ ও ২৩ জুন ৩, ৭, ১৯, ২০, ২১ ও ২৩ জুলাই প্রকল্পটির বিভিন্ন অংশ ধসে পড়ে। খাস কাউলিয়া এলাকায় অন্তত ৩০ মিটার আবারও ধস দেখা দেয়। এতে স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। পাউবো’র গাফিলতির কারণে বার বার পাড় ধসে পড়ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি আরো বলেন, এ বছরের ১৭ মার্চ খাস কাউলিয়া অংশে ধস দেখা দেয়। ধস রোধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় মঙ্গলবার একই এলাকায় ফের ধস দেখা দিয়েছে। বার বার বাঁধটি ধসের কারণে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আনিসুর রহমান জানান, খাস কাউলিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের পশ্চিমে প্রায় ২৫ মিটার এলাকা ধসে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ জানান, ইতোমধ্যে তারা অবহিত হয়েছেন। ধসের পরিধি ঠেকাতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এদিকে গতবছর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১২ থেকে ১৫বার এমন ভাঙনে পুরো বাঁধ এখন বিপর্যস্ত। নতুন করে আবার ভাঙনে অকার্যকর মাটি নিচে ফেলে ব্লক দেয়াসহ পাথরের চারপাশে ফাঁকা স্থানগুলো সিমেন্ট দিয়ে পূর্ণ করে না দেয়ায় পানি ঢুকে তা সাধারণ স্রোতে সরে এই ধস দেখা দিয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ