সিলেট প্রতিনিধি:
সিলেট নগরীর একটি বহুতল ভবনে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবাসহ চারজনকে আটক করেছে র্যাব। এর মধ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রলীগ নেতাও রয়েছেন। গতকাল সোমবার অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্র। গত রোববার মধ্যরাতে এ অভিযান চালানো হয়।
আটকরা হলেন শাবি ছাত্রলীগের গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশিদ রাসেল, শাবি ছাত্রলীগের মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক আজমল হোসাইন, সিলেট নগরীর সুবিদবাজারের নূরানী ১৭/১ নম্বর বাসার সৈয়দ মইনুর রহমানের ছেলে সৈয়দ নাইমুর রহমান ও হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার অলিপুর দেওনদি গ্রামের শেখ মোহাম্মদ বাবলার ছেলে শেখ সুলতান মির্জা। তাদের কাছ থেকে দুটি শটগান, সাত রাউন্ড কার্তুজ, রামদা, বেশ কয়েকটি ছোরা এবং ২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব।
আটকদের মধ্যে আবদুর রশিদ রাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলে শাবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান নাঈমকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় অভিযুক্ত। র্যাব-৯ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট নগরীর সুবিদবাজারস্থ এক্সেল টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্সের নিচ থেকে শেখ সুলতান মির্জাকে ২০০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। তাকে নিয়ে ভবনের চতুর্থ ও পঞ্চমতলায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ বাকি তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে সোমবার দুপুরে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় পর্ষদের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে, শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আবদুর রশিদ খান রাসেল ও আজমল হোসাইনকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এর আগে গত ২১ মার্চ একই ইউনিটের আরও ১২ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
উল্লেখ্য, শাবির কক্ষে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখাকে কেন্দ্র করে গত রোববার দুপুরে সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসানকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে আবদুর রশিদ। গুরুতর আহত অবস্থায় জাহিদকে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। উভয়েই শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানের অনুসারী।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি