স্পোর্টস ডেস্ক:
বিশ্বকাপে ওঠা নিয়েই সংশয়ে ছিল আফগানিস্তান। ধুঁকতে থাকা দলটি শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়ায় বাছাই পর্বের সুপার সিক্সে এবং নিশ্চিত করে বিশ্বমঞ্চের টিকিট। আরও বড় চমক দেখানোর অপেক্ষায় ছিল তারা। রবিবার দুইবারের সাবেক চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ফাইনালে হারিয়ে সেরা আসগর স্তানিকজাইয়ের দল।
গ্রুপ পর্বে মাত্র একটি জয় পাওয়া আফগানিস্তান চ্যাম্পিয়ন হয়ে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে যোগ দেবে। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে বাছাইয়ের ফাইনালে উইন্ডিজকে তারা হারায় ৭ উইকেটে। সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচেও তারা ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ৩ উইকেটে জিতেছিল।
গ্রুপে স্কটল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে ও হংকংয়ের বিপক্ষে বাছাই পর্বে হেরে খাদের কিনারায় ছিল আফগানিস্তান। নেপালকে শেষ ম্যাচে হারিয়ে তারা জায়গা করে নেয় সেরা ৬ দলের মধ্যে। সেখানে সবার শেষে ছিল তারা। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আরব আমিরাতকে হারালে তাদের বিশ্বকাপে ওঠার সম্ভাবনা আবার জ্বলে ওঠে। অবশ্য তাদের বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার পেছনে জিম্বাবুয়েকে বিদায় করা আমিরাতের অবদান অনস্বীকার্য। বাকি কাজটা আফগানরা করেছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সুপার সিক্সের শেষ ম্যাচে। দারুণ এক জয়ে নিশ্চিত করে বিশ্বকাপ।
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এত দূর আসা আফগানিস্তান শেষ ম্যাচেও চমকে দিলো। হারারেতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৬.৫ ওভারে ২০৪ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রভম্যান পাওয়েল (৪৪) ও শিমরন হেটমায়ার (৩৮) ছাড়া আর কোনও ব্যাটসম্যানের ব্যাটে ছিল না উল্লেখযোগ্য রান।
মুজিব উর রহমান তার শেষ ওভারে তিন উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রানের লাগাম টেনে ধরেন। দলীয় স্কোর ২০৪ থাকতেই শেষ তিন উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা।
মুজিব সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন। দুটি পান গুলবাদিন নাইব।
লক্ষ্যে নামা আফগানিস্তানকে একটুও ভোগাতে পারেনি উইন্ডিজ বোলাররা। দলীয় ৫৮ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর মোহাম্মদ শাহজাদ ও রহমত শাহর ৯০ রানের জুটিতে জয়ের ভিত রচিত হয়। ৯৩ বলে ১১ চার ও ২ ছয়ে ইনিংস সেরা ৮৪ রানে আউট হন ম্যাচসেরা শাহজাদ। দল ৩৬ রান দূরে থাকতে রহমত ৫১ রানে ক্রিস গেইলের দ্বিতীয় শিকার হন।
সামিউল্লাহ সেনওয়ারি ও মোহাম্মদ নবি অপরাজিত থেকে দলকে জেতান। ৪১তম ওভারে টানা তিনটি ছয় হাঁকিয়ে আফগানিস্তানকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন নবি। ১২ বলে ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। সেনওয়ারি খেলছিলেন ২০ রানে।
৪০.৪ ওভারে ৩ উইকেটে ২০৬ রান করে আফগানিস্তান। ক্রিকইনফো
দৈনিক দেশজনতা /এন আর