আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের প্রবেশাধিকার সংকুচিত করার স্মারকে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বছর ট্রাম্পের এক টুইটের জবাবে পেন্টাগন এ নীতির পর্যালোচনা করে।
ওই স্মারকে বলা হয়েছে, ‘জেন্ডার ডিস্ফোরিয়া’ থাকা ব্যক্তি ‘যাদের জন্য ওষুধ ও অস্ত্রোপচারের মতো চিকিৎসা সেবার দরকার পড়ে’, বিশেষ ব্যতিক্রম ছাড়া তারা সেনাবাহিনীতে অযোগ্য বিবেচিত হবেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা সংরক্ষণ করবেন।’ ডেমোক্রেটরা এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নিজেদের স্পষ্ট অবস্থান জানান দিয়েছে। তবে আইন মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা আশা করে আদালত এ বিষয়ে দেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেবে। রয়টার্স জানিয়েছে, স্মারকটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিসের প্রস্তাবনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি।
ফেব্রুয়ারিতে প্রস্তুত করা ম্যাটিসের স্মারকে লেখা হয়েছিল, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের মধ্যে যাদের ‘জেন্ডার ডিস্ফোরিয়া’ আছে তাদেরকে সেনাবাহিনী থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। ম্যাটিস প্রস্তাব করেছিলেন, তৃতীয় লিঙ্গের যাদের অস্ত্রপচারের প্রয়োজন বা যারা অস্ত্রপচার করে লিঙ্গ পরিবর্তন করেছে, তাদেরকে সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে। ম্যাটিসের পর্যবেক্ষণ, সামরিক সক্ষমতা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে ‘জেন্ডার ডিস্ফোরিয়া’র লক্ষণ থাকা ব্যক্তিরা ঝুঁকিপূর্ণ। এ নতুন নীতির ফলে সেনাবাহিনীতে মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের মানদণ্ড নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।
আদালতের এক আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছিল, নিজেদের তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ হিসেবে ঘোষণা দেয়া ৮,৯৮০ জন সেনাসদস্যের মধ্যে ৯৩৭ জনের ‘জেন্ডার ডিস্ফোরিয়া’ ছিল। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে খুশি নয় ডেমোক্রেটদের জাতীয় কমিটি। তারা সমালোচনা করে বলেছে, সেনাবাহিনীতে থাকা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য এ সিদ্ধান্ত একটা অপমান।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি