নিজস্ব প্রতিবেদক:
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অধীনে থাকা যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রেক্সিটের পর বিভক্ত ব্রিটেন এখন আর ইউরোপের নির্ভরশীল অংশীদার নয়।
মিউনিখে একটি নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, দুটি দেশের সাথেই তিনি ভাল সম্পর্ক চান, তবে ইউরোপের ভবিষ্যতের জন্য নিজেদেরই লড়াই করতে হবে।
ইউরোপিয়দের ভবিষ্যৎ নিজেদের হাতে তুলে নেয়ার বিষয়ে মিজ মের্কেল যখন বক্তব্য দেন, তখন তার হাজার-হাজার সমর্থক করতালিতে ফেটে পড়ে।
তিনি বলেন, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভাল সম্পর্ক রাখলেও তাদের ওপর আর ভরসা করা যায় না। সিসিলিতে অনুষ্ঠিত জি-সেভেন সম্মেলনকে তিনি ‘খুব কঠিন’ এবং ‘খুবই অসন্তোষজনক’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
“যখন আমরা অন্যদের ওপর সম্পূর্ণ ভরসা রাখতে পারতাম, সেই সময় পেরিয়ে গেছে। গত কয়েক দিনে আমি তা বুঝতে পেরেছি। সেজন্যেই আমি বলছি, ইউরোপিয়ানদের ভবিষ্যৎ নিজেদের হাতেই তুলে নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য, এমনকি রাশিয়ার সাথেও আমরা বন্ধুত্ব চাই, কিন্তু ভবিষ্যতের লড়াই আমাদেরই করতে হবে। আপনাদের সাথে আমি সেটাই করতে চাই”- বলেন জার্মান চ্যান্সেলর।
জি সেভেন সম্মেলনে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির বিষয়ে সমর্থন জানাতে অস্বীকৃতি জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই দেশে ফিরে মিজ মের্কেল এমন মন্তব্য করলেন।
ছয়টি দেশ এতে সম্মত হলেও ট্রাম্প বলেন, তিনি দেশে ফিরে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। ব্রাসেলসে নেটোর সম্মেলনেও তিনি ইউরোপের নিরাপত্তা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পুনর্ব্যাক্ত না করে বরং সদস্য দেশগুলোকে প্রতিরক্ষা খাতে আরো ব্যয় বাড়াতে বলেন।
বিবিসির ইউরোপ সম্পাদক কাটিয়া অ্যাডলার বলেন, মূলত: জার্মান ভোটারদের প্রতি আকর্ষণ করতেই মের্কেল এসব কথা বলছেন।
আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনের জনমত জরিপে মিজ মের্কেল এগিয়ে রয়েছেন। নির্বাচিত হলে তিনি চতুর্থবারের মত চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করবেন।
দৈনিক দেশজনতা/ এমএইচ