চুয়াডাঙ্গা প্রতিবেদক:
সাদা পোশাকে এবং নিজেদের থানা এলাকার বাইরে আসামি ধরতে যাওয়ায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ৬ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজন এএসআই এবং একজন কনস্টেবল রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে এদেরকে সদর থানা থেকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রমেন কুমার সরকার, ইন্দ্রজিৎ কুমার, কামরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান, ইউসুপ আলী এবং কনস্টেবল জসিম উদ্দীন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা সূত্র জানায়, সদর উপজেলার রাঙ্গিয়ারপোতা ও আকন্দবাড়িয়া গ্রামের পাশেই জীবননগরের সিংনগর গ্রামের অবস্থান। বৃহস্পতিবার বিকালে থানার ৬ পুলিশ সদস্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এবং সাদা পোশাকে সিংনগর গ্রামে আসামি ধরতে যান। তারা তিন বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রামের মেহের আলীর ছেলে পলাশকে ধরে থানায় নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় গ্রামের কিছু লোকের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ৬ পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
এলাকাবাসী জানায়, সাদা পোশাকে এবং অপরিচিত লোকেরা গ্রামে ঢুকে গ্রামের একজনকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করলে গ্রামের একাংশ প্রতিরোধের চেষ্টা করে। এ সময় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা গ্রামের সাধারণ মানুষকে মারধর করে এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম জানান, ‘সদর উপজেলার কয়েকটি গ্রামের পাশেই জীবননগরের সিংনগর গ্রাম। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা চুয়াডাঙ্গায় নতুন। তাই তারা ভালোভাবে গ্রাম চিনতে না পেরে আসামি ধরতে অন্য গ্রামে ঢুকে পড়েন। তাছাড়া তাদের গায়ে পুলিশের পোশাক ছিলো না। এতে পুলিশ বাহিনীর মর্যাদাহানি হয়েছে। এতে আমরা বিব্রত। এ কারণেই অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। এ বিষয়ে যথাযথ তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
দৈনিক দেশজনতা /এন আর