রাজশাহী প্রতিনিধি :
রাজশাহীর দুর্গাপুরে যাত্রাদলের এক নারী নৃত্য শিল্পী (২০) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠছে। তবে এ ঘটনায় দুর্গাপুর থানায় একজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ভিকটিম তিনজনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করতে চাইলেও দুর্গাপুর থানার ওসি অপর দুইজনের নাম বাদ দিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা রেকর্ড করেছেন।
ভিকটিমের অভিযোগ, তিনি নাটোরের যাত্রাদল ‘মৌসুমী অপেরার নতুন নৃত্য শিল্পী। এক মাস আগে তিনি ওই যাত্রাদলে যুক্ত হন। এরপর মৌসুমী অপেরার মালিক নাটোরের মোজাহার আলী তাকে যাত্রাদলের ম্যানেজার দুর্গাপুর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত নাছের আলীর ছেলে নজরুল ইসলামের বাড়িতে রেখে যান। বিশেষ কাজে ভিকটিম ১৫/২০দিন আগে তার গ্রামের বাড়িতে যান। মঙ্গলবার রাতে তিনি পুনরায় নজরুলের বাড়িতে ফিরে আসেন। রাতে যাত্রাদলের মালিক মোজাহার আলী, ম্যানেজার নজরুল ইসলাম ও অজ্ঞাত আরেক ব্যক্তি তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ঘরে আটকে রাখেন। পরদিন বুধবার দুপুরে তিনি সকলের অগোচরে নজরুলের বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এরপর যাত্রাদলের অপর এক সহশিল্পীর সহায়তায় তিনি দুর্গাপুর থানায় যান মামলা করতে। কিন্তু ওসি ঘটনা জানার পর থেকে জড়িতদের বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেন।
ভিকটিম আরও অভিযোগ করেন, বুধবার সন্ধ্যা থেকে সারারাত তাকে থানায় রেখে গভীর রাতে ভয়ভীতি দেখিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে কথাটি বাদ দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে মামলা করতে বলেন ওসি। ওই প্রস্তাবে ভিকটিম প্রথমে রাজি না হলে তাকে নানা রকম ভয়ভীতি দেখান ওসি। পরে বাধ্য হয়ে ভিকটিম ওসির লেখা এজাহারে স্বাক্ষর করেন। বৃহস্পতিবার সকালে ভিকটিমকে থানা থেকে বাড়ি পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার ওসি রুহুল আলম জানান, ভিকটিম অভিযোগ নিয়ে থানায় আসলে তার বক্তব্য শুনে এলাকায় খোঁজখবর নেয়া হয়েছে। ভিকটিমের অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। তবে ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখানোর কথা অস্বীকার করেছেন ওসি। সারারাত থানায় রাখার কারণ জানতে চাইলে ওসি জানান, ভিকটিমের নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাকে থানায় রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/ এফ আর