নিজস্ব প্রতিবেদক :
আসছে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় কয় সেট প্রশ্ন হবে, তা কেউ জানবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, আমরা এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অনেক পরিকল্পনা নিচ্ছি। পরীক্ষায় কয় সেট প্রশ্ন ছাপাব এটা কেউ বলতে পারবে না। কোন সেট পরীক্ষায় আসবে সেটিও কেউ বলতে পারবে না। এ সময় তিনি প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে প্রচার করে শিক্ষার্থীদের মনে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর অনুরোধ করেন।
সোমাবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সিলেট জেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন জালালাবাদ ছাত্রকল্যাণ সমিতির নবীনবরণ ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে জেলার ১৫০ জন ছাত্রছাত্রীকে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়।
ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি ইউসুফ উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ মো. শাহাব উদ্দিন, জালালবাদ অ্যাসোসিয়েশন ঢাকার সভাপতি সিএম তোফায়েল সামি, বাংলাদেশ তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক, পুলিশের সাবেক এআইজিপি সৈয়দ বজলুল করিম, ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির এই যুগে প্রশ্নফাঁস হচ্ছে না, তা বলা কঠিন। প্রযুক্তির উন্নতি আছে ঠিকই, কিন্তু এর কুফলও আছে। তাই শুধু প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জন করলেই হবে না, ভালো মানুষ হতে হবে। এ সময় তিনি প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের এই পথ থেকে সরে আসার আহ্বান জানান। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সম্মিলিত কাজের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রশ্নফাঁসের কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে প্রশ্নফাঁসের মতো ঘটনা ঘটছে। কারণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে যদি আঘাত করা যায়।
তিনি বলেন, প্রযুক্তিকে প্রযুক্তি দিয়েই মোকাবেলা করতে হবে। সেই কাজ তো আমার না। ক্রিমিনালকে ধরার দায়িত্ব আমার না। সেটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।
তিনি বলেন, আমার সৌভাগ্য আমি শিক্ষানীতি করতে পেরেছি। শিক্ষার মূল লক্ষ্য হচ্ছে আমাদের শিক্ষার্থীদের আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে গড়ে তোলা। এজন্য সরকার শিক্ষায় আমূল পরিবর্তন এনেছে। এ সময় তিনি অভিভাবক ও শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, আপনার সন্তান প্রশ্নঁফাসের মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়ে পাস করলে মানুষ হবে না। তাই এসব বন্ধ করেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ