দৈনিক দেশজনতা অনলাইন ডেস্ক:
ভারতের তাজ মহল আসলে ‘তেজো মহালয়া’ মন্দির। এমন দাবি ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। এবার পবিত্র মক্কার কাবা শরীফকেও হিন্দুর মন্দির বলে উল্লেখ করে বিতর্ক ছড়াল হিন্দু মহাসভা। হিন্দু নববর্ষ উপলক্ষে একটি বিতর্কিত ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছে আলিগড়ের হিন্দু মহাসভা। আর সেখানে শুধু তাজ মহল বা মক্কা ছাড়াও মুঘল আমলের বিভিন্ন সৌধ ও মসজিদকেও হিন্দু মন্দির বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ক্যালেন্ডারে বলা হয়েছে, তাজ মহল হল আসলে ‘তেজো মহালয়া মন্দির’। মক্কাকে বলা হয়েছে ‘মক্কেশ্বর মহাদেব মন্দির।’ এছাড়া মধ্যপ্রদেশের কমল মৌলা মসজিদকে ‘ভিজশালা’ এবং কাশীর জ্ঞানব্যাপী মসজিদকে ‘বিশ্বনাথ মন্দির’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, বিখ্যাত কুতুব মিনারকে ‘বিষ্ণু স্তম্ভ’, জৌনপুরের অটলা মসজিদকে ‘অটলা দেবী মন্দির’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্যই এই তালিকায় রয়েছে অযোধ্যা। বাবরি মসজিদকে ‘রাম জন্মভূমি’ বলেই চিহ্নিত করেছে হিন্দু মহাসভা।
হিন্দু মহাসভার সেক্রেটারি পূজা সাকুন পান্ডে জানান, ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে হিন্দু মহাসভা। তাদের আশা, কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত তাদের দাবি মেনে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করবে। তাঁর অভিযোগ, মুসলিমরা ভারতের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী স্থানকে মসজিদে পরিণত করছে। তাঁর দাবি, ক্যালেন্ডারে উল্লেখ করার প্রত্যেকটা জায়গার ইতিহাস খতিয়ে দেখেছেন আলিগড়ের কলেজের এক প্রাক্তন ইতিহাসের অধ্যাপক।
তবে হিন্দু মহাসভার এই পদক্ষেপে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে মুসলিম সংগঠনগুলিতে। অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ‘ল’ বোর্ডের সদস্য ইমাম-ই-ঈদগাহের মৌলানা খালিদ রশিদ ফিরঙ্গি মাহলি বলেন, হিন্দু মহাসভার এই দাবির কোনও ভিত্তি নেই। মক্কাকে হিন্দু মন্দির বলা আসলে ধর্ম নিরপেক্ষতার পরিপন্থী। আলিগড়ের প্রাক্তন বিধায়ক জামিরুল্লা খান এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হিন্দু মহাসভাকে হাফিজ সঈদের সঙ্গে তুলনা করেছেন।-ভারতীয় গণমাধ্যম।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি