আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গৃহযুদ্ধ কবলিত সিরিয়ায় নারীরা ধর্ষণের হাতিয়ার হয়েছে বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সর্বশেষ এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এমনকি নারী ও শিশুদের পাশাপাশি পুরুষরাও ধর্ষণ ও যৌননিপীড়নের শিকার হয়েছেন। বয়স্ক নারীরাও সেখানে ধর্ষণ থেকে রেহাই পাননি।
ধর্ষণ ও যৌননিপীড়নের শিকার সিরিয়ার সাড়ে চারশর বেশি মানুষের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে জাতিসংঘের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এমনই ভয়াবহ যৌননিপীড়নের লোমহর্ষক চিত্র উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াশিংটান পোস্ট।
পত্রিকাটি বলছে, আসাদ নিয়ন্ত্রিত সরকারি বাহিনী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে বাড়ি ঘরে তল্লাশি চালানোর সময়, বিভিন্ন চেকপয়েন্টে এবং বিভিন্ন কারাগারে খুবই ভয়ঙ্কর ও পরিকল্পিত ভাবে যৌননিপীড়ন করেছে। এছাড়া আসাদ বাহিনীর সেনারা নারী ও শিশুদের ধর্ষণ করে নগ্ন অবস্থায় ট্যাঙ্কের সামনে দিয়ে রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য করত।
সাক্ষাতকারে একাধিক নারী তাদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরেন। তাদের কাউকে কাউকে নিজের ভাইয়ের সামনে, স্বামীর সামনে, আবার কাউকে বন্দি নারীদের দল থেকে আলাদা করে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। নারী আইনজীবি, সাংবাদিক এবং বিদ্রোহী দলের নারীদের ধরে এনে ধর্ষণের পর বৈদ্যুতিক শক দেয়া হতো। নারীদের পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সি শিশুরা ও পুরুষরাও তাদের যৌননিপীড়ন থেকে বাদ যায়নি। এছাড়া ধর্ষণের শিকার হওয়ার কারণে অন্তঃসত্ত্বা অনেক নারীর গর্ভপাতের ঘটনাও ঘটেছে। সাক্ষাতকার দেয়া নারীদের সবারই শরীরে একাধিক নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে এবং অনেক নারী ধর্ষণ পরবর্তী আত্মহত্যা করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে।
প্রসঙ্গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৩৭তম অধিবেশন শুরু হয়েছে। চলতি মাসের ২৩ তালিখ পর্যন্ত এ অধিবেশন চলবে।
দৈনিকদেশজনতা/ এফ আর