আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আগামী মাসের গোড়ার দিকে পাকিস্তানে ফিরছেন অল পাকিস্তান মুসলিম লীগ প্রধান ও সাবেক সামরিক শাসক জেনারেল পারভেজ মুশাররফ। পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এ খবর প্রকাশ করেছে। খবরে বলা হয়, জেনারেল মুশাররফ দেশে ফিরে করাচিকে নিজের রাজনৈতিক তৎপরতার প্রধান কেন্দ্রে পরিণত করতে চান। তিনি তিনদিন আগে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে দেশের ফেরার জন্য আনুষ্ঠানিক অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন।
সম্প্রতি পাকিস্তানের একটি আদালত রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও আদালত অবমাননার মামলায় সাবেক এই সামরিক শাসকের পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র জব্দ করার নির্দেশ দেয়। তিনি দেশে ফিরে তার বিরুদ্ধে পরিচারিত মামলাগুলো মোকাবিলা করতে চান বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। আদালতের আগের শুনানিগুলোতে উপস্থিত না থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তবে তার আইনজীবীরা আশা করছেন দেশে ফিরে আদালতে হাজিরা দিলে জেনারেল মুশাররফ জামিন পাবেন।
এর আগে পাকিস্তানের আদালত মুশাররফকে দেশে ফেরানোর জন্য ইন্টারপোলের শরণাপন্ন হতে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিল। মুশাররফ বর্তমানে দুবাইয়ে স্বেচ্ছা নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। মুশাররফের সম্ভাব্য দেশে ফেরার দিন তাকে ইসলামাবাদ ও করাচিতে বিপুল সংবর্ধনা দেবে তার রাজনৈতিক দল অল পাকিস্তান মুসলিম লীগ।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে এক রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থানে পাকিস্তানের ক্ষমতা দখল করে মুশাররফ। ২০০৮ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য হন তিনি। এরমধ্যে ২০০১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান সরকার বিরোধী মার্কিন যুদ্ধে সমর্থন জানান পারভেজ মুশাররফ। আমেরিকার কথিত সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে পাকিস্তানের সমর্থন জানানোর সে সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফ।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি