নিজস্ব প্রতিবেদক:
৩৬তম বিসিএস অপেক্ষামাণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে নন-ক্যাডার প্রথম শ্রেণির ২৮৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা-২০১০ এবং সংশোধিত বিধিমালা-২০১৪ অনুযায়ী ৩৬তম বিসিএস থেকে নন-ক্যাডার সংশ্লিষ্টদের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বৃহস্পতিবার দুপুর ফলাফল প্রকাশের তথ্য জানিয়ে বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত শূন্য পদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ৩৬তম বিসিএস এর ক্যাডার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত নন এমন প্রার্থীদের মধ্য প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে সুপারিশ করা হয়। এক্ষেত্রে ৩৬তম বিসিএস এ প্রার্থীদের অর্জিত মেধাক্রম ও কোটা পদ্ধতির ভিত্তিতে ১ম শ্রেণির পদে নিয়োগের জন্য কমিশন সুপারিশ করেছে। প্রথম শ্রেণির পদের সুপারিশ সম্পন্ন হয়েছে, সামনে দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সুপারিশ প্রদান করা হবে।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে ১ম এবং ২য় শ্রেণির পদের অধিযাচন প্রাপ্তি সাপেক্ষে শূন্য পদ পূরণের জন্য বিসিএসের মেধাক্রম থেকে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে পিএসসি। ৩৬তম বিসিএসে ক্যাডার পদে প্রাপ্ত নন এমন ৩৩০৮ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে ২৬৫০জন প্রার্থী নন-ক্যাডার ১ম ও ২য় শ্রেণি পদের জন্য আবেদন করেন। তবে ইতিপূর্বে যারা প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন তাদেরকে ৩৬তম বিসিএসের প্রথম শ্রেণির পদে সুপারিশের আওতায় আনা হয়নি। একইভাবে ইতিপূর্বে নন-ক্যাডার ২য় শ্রেণির পদে যারা সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন তারাও আগামীতে ২য় শ্রেণির পদের জন্য পুনরায় নিয়োগের জন্য সুপারিশ প্রাপ্ত হবেন না। প্রথম শ্রেণির তালিকা প্রকাশের পর আগামী এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ৩৬তম বিসিএসের নিয়োগের সুপারিশ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। দ্বিতীয় শ্রেণির তালিকা প্রকাশ করার মধ্যদিয়ে এই কার্যক্রম শেষ হচ্ছে।
প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সমাজসেবা অফিসার পদে ১০২ জন, উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী পদে ২৫ জন, রেল মন্ত্রণালয়ের সহকারী সার্জন পদে ১৮ জন, জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক পদে ১৬জন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে ১৩জন, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা পদে ১৩জন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক পদে ১০জন, জুনিয়র রিসার্চ অফিসার ৯জনসহ ৪৪টি পদে ২৮৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ অক্টোবর ৩৬তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে দুই হাজার ৩২৩ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। পর্যাপ্ত ক্যাডার পদ না থাকায় তিন হাজার ৩০৮ জনকে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগে সুপারিশের জন্য উত্তীর্ণের তালিকায় রাখা হয়।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর