নিজস্ব প্রতিবেদক :
কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে সাতজনকে কাঠমান্ডু ছাড়ার অনাপত্তিপত্র দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে শাহরিন আহমেদ নামের একজনকে আজ বিকাল তিনটার দিকে ঢাকায় আনা হচ্ছে। অন্যরাও যেকোনও সময় কাঠমান্ডু ছাড়তে পারবেন।
এছাড়া রেজওয়ানুল হক নামের অপর একজনকে এরই মধ্যে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অপর দুইজনকে ভারতে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মো. রেজওয়ানুল হক, শাহরিন আহমেদ, ইয়াকুব আলী, মেহেদি হাসান, এমরানা কবির হাসি, সৈয়দা কামরুন নাহার স্বর্ণা ও আলমুন নাহার অ্যানির কাঠমান্ডু ছাড়ার অনাপত্তিপত্র মিলেছে।
এর মধ্যে শাহরিন আহমেদকে বিকাল তিনটার দিকে ঢাকায় আনা হচ্ছে। মো. রেজওয়ানুল হককে তার বাবা মো. মোজাম্মেল হক সিঙ্গাপুরে নিয়ে গেছেন। ইয়াকুব আলী ও এমরানা কবির হাসিকে চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যাওয়া হবে। বাকিদেরও যেকোনও সময় বাংলাদেশে নিয়ে আসা হতে পারে।
এছাড়া গুরুতর আহত মো. শাহীন ব্যাপারী কাঠমান্ডু মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে এবং মো. কবীর হোসাইন ও শেখ রাশেদ রুবায়েত একই হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের এখনো নেপালের হাসপাতাল ছাড়ার অনুমতি দেয়া হয়নি।
নিহত বাংলাদেশিদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে একটি মেডিকেল টিম কাঠমান্ডুর উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। ছয় চিকিৎসক ছাড়াও দুই সিআইডি কর্মকর্তা রয়েছেন এই টিমে।
এদিকে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৩০টি মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে কাঠমান্ডু পোস্ট। এক প্রতিবেদনে দৈনিকটি ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি টিচিং হাসপাতালের ফরেনসিক ডিপার্টমেন্ট প্রধান ড. প্রমোদ শ্রেষ্ঠাকে উদ্ধৃত করে বলছে, ৩০টি মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষ হলেও পরিচয় শনাক্ত করা গেছে মাত্র আটজনের। বাকি মরদেহ ঝলসে যাওয়ার কারণে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বলে জানান নেপালের এ চিকিৎসক।
কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যাত্রী ও পাইলটের টক্সিসিটি পরীক্ষা করা হচ্ছে এখন। যেকোনো বিমান দুর্ঘটনার পরে এই টক্সিলোজি পরীক্ষা করা হয়। এতে নিশ্চিত হওয়া যায় তারা কোনো বিষক্রিয়ায় কিংবা কেউ জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন কি না। তবে এই পরীক্ষার প্রতিবেদন তৈরি করতে বেশ কিছুদিন সময় লাগে বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।
সোমবার নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলার একটি বিমান ৬৭ যাত্রী ও চারজন ক্রু নিয়ে বিধ্বস্ত হয়। এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৬ বাংলাদেশিসহ ৫১ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া গুরুতর আহত ১০ বাংলাদেশি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ