মারুফ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভোট দিতে না পেরে জনসাধারণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে বদ্ধপরিকর। জনগণের মনোভাব বুঝেই সরকার এখন দিশেহারা হয়ে উঠেছে। আরেকটি দেশি-বিদেশী মাস্টারপ্ল্যানের নীল নকশার নির্বাচন করতে এখন তারা বেপরোয়া বললেন রিজভী।
এখন পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে সমাবেশের অনুমতি মেলেনি। ডিএমপি জানিয়েছে- গোয়েন্দা বিভাগ থেকে সবুজ সংকেত পেলে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে। যেদিন পুলিশ অনুমতি দিবে সেদিনই করা হবে জনসমাবেশ বলে জানান রিজভী।
গতকাল রোববার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
‘ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশিদের সঙ্গে দেন-দরবার করছে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, বিএনপি হলো এদেশের জনগণের দল, জনগণের ভোটেই ক্ষমতায় যাওয়ায় বিশ্বাস করে। বিএনপি নয় বরং আওয়ামী লীগই ক্ষমতা হারানোর ভয়ে বিদেশীদের সঙ্গে দেন-দরবার করতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছে।
রিজভী বলেন, যেসব অনুষ্ঠানে সরকারের একজন সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা গেলেই চলে, সেখানে খোদ সরকার প্রধান গিয়ে হাজির হচ্ছেন। উদ্দেশ্য একটাই- বিদেশিদের মন জয় করা।
বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সারা দুনিয়া বর্তমান সরকারের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণমূলক।
রিজভী বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ১২ মার্চ সোমবার সোহরাওয়ার্দী উদ্দ্যানে সমাবেশ করার সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বিএনপি। এখনো পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো কিছু জানানো হয়নি। আজকে রাতের মধ্যে যখনই অনুমতি দেয়া হোক আমরা যথাসময়ে জনসভা সফল করতে সক্ষম হব।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আতাউর রহমান ঢালী ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ গতকাল রোববার ডিএমপি কার্যালয়ে গেলে তাদের জনসভা সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেনি পুলিশ বললেন রিজভী।
সভা সমাবেশ, জনসমাগম দেখলেই সরকার আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এমন মন্তব্য করে রিজভী আহমেদ বলেন, দেশের কোথাও জনসভা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত করা যাচ্ছে না। অনুমতি দিতে গড়িমসি, ১৪৪ ধারা জারি এবং কোথাও কোথাও সংকীর্ণ স্থানে অনুমতি দেয়া হলেও সেখানে নেতাকর্মীদের আসতে বাধা দেয়া হচ্ছে, জনসভায় না আসার ভয়ভীতি হিসেবে ব্যাপকভাবে ধরপাকড় আটক-গ্রেফতার করা হচ্ছে।
রিজভী বলেন, জনসভা করতে বাধা দেয়া, বিএনপির কর্মীদের গ্রেফতার করে দমন-পীড়ন শুধু আগামী নির্বাচন একতরফাভাবে করার জন্যই।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ