২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৫:২৪

আ.লীগের মিছিলে স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানি: ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে ৭ মার্চে আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে এক স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চের শ্লীলতাহানির ঘটনাগুলোর ভিডিও ফুটেজ দেখে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।

প্রসঙ্গত, ৭ মার্চের সমাবেশ ফেরার পথে বাংলামোটর এলাকায় স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ উঠে। সমাবেশ থেকে ফেরার পথে নারীদের কাপড় ছিঁড়ে নিলো
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ এর সমাবেশ থেকে ফেরার পথে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা অনেক নারীর গায়ের কাপড় খুলে নিয়েছে আওয়ামী লীগ কর্মীরা। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এমনটি জানিয়েছেন একাধিক নারী।

বুধবার সন্ধ্যার পর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান ইশরাতুল শোভা নামে নারী সাংবাদিক। তার স্ট্যাটাসটি হু্বহু তুলে ধরা হলো- “খুব মজা সমাবেশ করতে যেতে আসতে রাস্তায় গ্রুপ গ্রুপ হয়ে মেয়েদের হ্যারাস করা! এক মুরুব্বি বলেছেন, “ঠিকই আছে, বের হইসো কেন বাসা থেকে, জানো না আজকে রাস্তায় বেশি ছেলে থাকবে!?” আল্লাহ কেন মেয়েদের মাত্র দুটো হাত দিলো!? দুটো হাত দিয়ে এতগুলো হাত থেকে বুক, পেট বাঁচাবো নাকি কোমর, পিঠ বাঁচাবো, ওড়না ধরে রাখবো নাকি তাদের হাতগুলো সরাবো!”

এদিকে ভিকারুন্নেসা কলেজের এক ছাত্রী একই রকম অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। ঘণ্টা খানেকের মধ্যে পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়। তবে রাত ৯টার দিকে তার ওয়ালে গিয়ে বৈরাগী (নামের শেষাংশ) নামের ওই নারী পোস্টটি সরিয়ে ফেলেছেন।

তার পোস্ট এখানে তুলে ধরা হলো–

“শান্তিনগর মোড়ে এক ঘন্টা দাড়ায়ে থেকেও কোনো বাস পাইলাম না। হেটে গেলাম বাংলামটর। বাংলামটর যাইতেই মিছিলের হাতে পড়লাম। প্রায় ১৫-২০ জন আমাকে ঘিরে দাড়াইলো। ব্যস! যা হওয়ার থাকে তাই। কলেজ ড্রেস পড়া একটা মেয়েকে হ্যারাস করতেসে এটা কেউ কেউ ভিডিও করার চেষ্টা করতেসে। কেউ ছবি তোলার চেষ্টা করতেসে। আমার কলেজ ড্রেসের বোতাম ছিড়ে গেসে। ওড়নার জায়গাটা খুলে ঝুলতেসে। ওরা আমাকে থাপড়াইসে। আমার শরীরে হাত দিসে। আমার দুইটা হাত এতগুলা হাত থেকে নিজের শরীরটাকে বাচাইতে পারে নাই।

একটা পুলিশ অফিসার এই মলেস্টিং চক্রে ঢুকে আমাকে বের করে এন্ড একটা বাস থামায়ে বাসে তুলে দেয়। বাকিটা পথ সেইফ্লি আসছি। প্রচন্ড শরীর ব্যথা ছাড়া আর কোনো কাটাছেড়া নাই। মেন্টালি ভয়াবহ বিপর্যস্ত বাট শারীরিক ভাবে ভালো আছি। আমি এই শুয়োরদের দেশে থাকব না। জয় বাংলা বলে যারা মেয়ে মলেস্ট করে তাদের দেশে আমি থাকব না। থাকব না। থাকব না…

প্রসঙ্গ —যারা নিজের দেশ মাকে সম্মান করে না, তারা দেশের নারীদের কি সম্মান করবে। তারা রাজনীতির মানে বুঝে খালি রক্তপাত এবং ক্ষমতা। সত্যিকার অর্থেই তারা না দেশকে ভালোবাসে না দেশের মানুষকে। আর এরাই হবে এই দেশেরই ভবিষ্যৎ রাজনীতিবিদ তাহলে বোঝা যায় এ এদেশের কি অবস্থা হবে।”

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :মার্চ ৮, ২০১৮ ১:১৭ অপরাহ্ণ