নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বে দুই দলের লড়াইটা জমে ছিল দারুণ। তবে সুপার লিগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের লড়াইটা একপেশেই হলো। জমলো না মোটে। শনিবার লো-স্কোরিং ম্যাচে মোহামেডানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ৩৩.৪ ওভারে মাত্র ১০০ রানে গুটিয়ে দেয় আকাশি-নীলরা। জবাব দিতে নেমে ১৫.৩ ওভারে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আবাহনী। অবশ্য ৫ উইকেট হারানোয় জয়ের উৎসবটা সামান্য রঙ হারালো।
বিকেএসপিতে সকালে মোহামেডানের ব্যাটিংয়ে ছিলো ভালো শুরুরই ইঙ্গিত। স্লো ওভার রেটের কারণে শাস্তি পাওয়ায় এ ম্যাচে ছিলেন না নিয়মিত অধিনায়ক ও পারফর্মার রকিবুল হাসান। আবাহনীর বিপক্ষে প্রথম পর্বে যিনি ১৯০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। রকিবুলের পরিবর্তে এদিন মোহামেডানকে নেতৃত্ব দেন শামসুর রহমান শুভ। সৈকত আলিকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৩২ রান যোগ করেন শামসুর। কিন্তু এরপরই যেন বদলে গেল সব। শামসুরকে ব্যাক্তিগত ২৩ রানে ফিরিয়ে প্রথম আঘাতটা করলেন সাকলায়েন সজীব। এরপর রনি তালুকদার ও সৈকত আলীর উইকেট তুলে নিয়ে ভেঙে দিলেন মোহামেডানের টপ অর্ডারের মেরুদণ্ডটাই। এর পর আর দাঁড়াতে পারেনি মোহামেডান। মনন শর্মা আক্রমণে এসে তুলে নেন ৪ উইকেট। ফলে ১০০ রানেই অল আউট হওয়ার লজ্জায় ডোবে মোহামেডান। তাদের ভাগ্য ভালো ১২ রান পেয়েছে অতিরিক্ত খাত থেকে। নইলে স্কোরটা আরো কম হতে পারতো।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ঝড়ের গতিতে জবাব দিতে শুরু করেন ইনফর্ম ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস। তাইজুল ইসলামের প্রথম ওভারেই ২ ছয় আর ২ চারে তুলে নেন ২০ রান। বিপুল শর্মার পরের ওভারেও হাঁকালেন আরেকটি ছয়। মনে হচ্ছিল যেন ১০ ওভারের মধ্যেই খেলা শেষ করে দেবেন লিটন! পঞ্চম ওভারে গিয়ে লিটন আরো দুটি ছক্কা হাঁকালেন তাইজুলকে। তবে ষষ্ঠ ওভারে সাজেদুল ইসলামের বলে ক্যাচ হয়ে ফিরে যান লিটন। তার আগে তুলে নিয়েছেন লিগে নিজের পঞ্চম ফিফটি। ২২ বলে ৪টি চার ও ৫টি ছয়ের সাহায্যে ৫০ রান করেন লিটন। লিগে ১২ ম্যাচে তাঁর মোট রান দাড়ালো ৭১৩।
তবে লিটনের ফিরে যাওয়ার পর ছন্দ পতন আবাহনীর। একপ্রান্তে সাদমান অবিচল থাকলেন। কিন্তু অন্যপ্রান্তে আসা যাওয়ায় মাতলেন ব্যাটম্যানরা। শেষ পর্যন্ত ১০১ রানের লক্ষ্যটা ৫ উইকেট হারিয়ে স্পর্শ করে আবাহনী। ম্যাচ সেরা হয়েছেন সাকলায়েন সজীব। তার বোলিং স্পেল ১০-০-২৪-৩।
দৈনিক দেশজনতা/ এমএইচ