নিজস্ব প্রতিবেদক:
বেসিক ব্যাংকের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির মামলা তদন্তে চতুর্থ দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তৃতীয় দফা জিজ্ঞাসাবাদের পর দুই মাস বিরতি দিয়ে আবার তাকে তলব করা হলো।
দুদকের উপ-পরিচালক শামসুল আলমের স্বাক্ষরিত নোটিশটি মঙ্গলবার শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুকে পাঠানো হয়েছে। নোটিশে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর, ৬ ডিসেম্বর ৮ জানুয়ারি বাচ্চুকে তৃতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওই তিনদফা জিজ্ঞাসাবাদে দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। দুদকের ৫৬টি মামলার মধ্যে ২৪টি মামলার বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
দুদক সূত্র জানায়, বেসিক ব্যাংক ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও গুলশান থানায় মোট ৫৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরপর বংশাল ও মতিঝিল থানায় আরো দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলাগুলোতে ২ হাজার ৬৫ কোটি টাকা অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। মামলায় আসামিদের মধ্যে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা রযেছেন ২৬ জন।
এর মধ্যে ব্যাংকের সাবেক এমডি কাজী ফখরুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে ৪৮ মামলায়, ডিএমডি ফজলুস সোবহান ৪৭টি, কনক কুমার পুরকায়স্থ ২৩টি, আইটি শাখার মো. সেলিম আটটি এবং বরখাস্ত হওয়া ডিএমডি এ মোনায়েম খান ৩৫টি মামলার আসামি। তবে কোনো মামলায় ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুরসহ পরিচালনা পর্ষদের কাউকে আসামি করা হয়নি। ওই মামলাগুলোর বাকি ১৩০ জন আসামি হলেন ঋণগ্রহীতা ৫৪ প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে বেসিক ব্যাংকের তিনটি শাখায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে। দুদক ২ হাজার ৬৫ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। তবে বাকি আড়াইহাজার কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান চলমান। অনুসন্ধান শেষে সেগুলোর ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর