মারুফ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আওয়ামী লীগের আজকের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের মৌলিক প্রত্যাশা পূরণের ঘোষণা করবেন। আমরা আশা করি তিনি বলবেন, জনগণের প্রত্যাশিত গণতন্ত্র, ভোটাধিকার এবং সুশাসন ফিরিয়ে দিবেন। নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ফিরিয়ে দেবেন।
সাজানো মিথ্যে মামলা থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ারও ঘোষণা করবেন বলে আশা করেন বিএনপির এই নেতা।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে যুব সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, এলডিপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব শাহাদত হোসেন সেলিম প্রমুখ।
সভা-সমাবেশ করা নাগরিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার উল্লেখ করে আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, ৭ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই প্রেক্ষিতে, এই দিনের মূল চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রধানমন্ত্রী আজ গণমুক্তি দেয়ার ব্যাবস্থা করবেন।
আমীর খসরু বলেন, ৭ মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ জনসভা করবে, আমরা জনসভাকে স্বাগত জানাই। প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে অন্যায়-অনৈতিক-অসাংবিধানিকভাবে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। সেখানে জনগণকে ডেকে নিয়ে শপথ করাচ্ছেন। ক্ষমতায় থেকে সভা-সমাবেশে জনগণকে শপথ গ্রহণ করানো সংবিধান, গণস্বাধীনতার পরিপন্থী এবং অনৈতিক। তাই আমরা চাই, আমাদের সাংবিধানিক, নাগরিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার, সভা-সমাবেশ করার যে অধিকার, সেই অধিকারটুকু আমাদের পালন করতে দেবেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা কাউকে শপথ গ্রহণ করাব না।
আমীর খসরু আরো বলেন, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা, সরকারি কর্মকর্তা ও সরকারের সঙ্গে যাঁরা সম্পৃক্ত, তাঁরাও জনসভায় আসছেন। এতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই, আমরা স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার দেশ চাই। সুতরাং আজকে যারা ক্ষমতাসীন দল, তারা জনসভা করবে, এখানে কোনো ভিন্ন মত থাকার কারণ নেই।
১২ মার্চ বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার অনুমতি চেয়েছে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, এক সপ্তাহ হলেও এখনো অনুমতি মেলেনি। অথচ আজকে যারা জনসভা করছে, তারা গত ১০ দিন ধরে ঢাকায় মাইকিং করছে। রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে ফেলেছে পুরো শহর। দুঃখ হয়, আমরাতো এগুলো কিছু চাচ্ছি না! আমরা শুধু চাচ্ছি সভার অনুমতি। যেটা আমার সাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার। সেই অধিকার থেকে আজকে বিএনপি বঞ্চিত হচ্ছে।
খসরু বলেন, আজকে বিরোধী দলের রাজনৈতিক, সাংবিধানিক স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রশ্নবিদ্ধ। যে কারণে দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারছে না, সমতলভূমিতে রাজনীতি হচ্ছে না, বাক-স্বাধীনতা বাধাগ্রস্থ এবং গণমাধ্যম ও আইনের শাসন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এ নেতা।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ