নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগে কোটার ক্ষেত্রে যোগ্য প্রার্থীর অভাব হলে মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়ে সেই পদ পূরণ করতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে আদেশ জারি হয়েছে।
সরকারি কোট সংরক্ষণ সংক্রান্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারির স্মারকের নির্দেশনা শিথিল করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে আদেশে বলা হয়েছে, ‘সিনিয়র স্টাফ নার্সের চার হাজার এবং মিডওয়াইফের ৬০০টি পদ পূরণের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণ সংক্রান্ত নির্দেশনা শিথিল করে ওই পদগুলো জাতীয় মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের মাধ্যমে পূরণ করা হবে। যা এককালীন না হয়ে সব সময়ে প্রযোজ্য হবে।’
ওই আদেশের অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব বা সিনিয়র সচিব, সরকারি কর্মকমিশনের সচিব, মহা-হিসাব নিরীক্ষা ও নিয়ন্ত্রক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (এপিডি) দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে শতকরা ৫৬ ভাগ কোটা রয়েছে। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনি ৩০ শতাংশ, প্রতিবন্ধী এক শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা কোটা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য পাঁচ শতাংশ কোটা চালু আছে।
অনেক সময় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় কোটার পদগুলো পূরণ হয় না। এজন্য পদগুলো পূরণ করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এতে বিভিন্ন সংস্থার কাজে ব্যাঘাত ঘটে। অপরদিকে দেশে বেকার মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। এ প্রেক্ষাপটে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দ্রুততর করতে কোটার শূন্যপদ মেধা তালিকা থেকে পূরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও গবেষণা সেলের ২০১৬ সালের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ওই সময়ে সরকারি চাকরিতে শূন্যপদের সংখ্যা তিন লাখ ৫৯ হাজার ২৬১টি।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ