নিজস্ব প্রতিবেদক :
ইসরাইলি সহিংসতা নিয়ে কোনো তথ্য পোস্ট করলে ফিলিস্তিনিদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদে গাজা শহরে জাতিসংঘের কার্যালয়ের সামনে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ইসরাইলি অপরাধে সহযোগিতা করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি দখলদারিত্বের পক্ষে কাজ করছে।
ফিলিস্তিনের বেসরকারি সংস্থা জার্নালিস্টস সাপোর্ট কমিটি সোমবার এই বিক্ষোভের আয়োজন করে। এতে প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মুখপাত্র সালামা মারুফ বলেন, ফেসবুক মানুষের মত ও বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ করে দিতে চায়।
গত বছর দুই শতাধিক ফিলিস্তিনির অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন অজুহাতে ২০১৮ সাল শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত শতাধিক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় তারা।
মারুফ বলেন, ইসরাইলিদের ২০ শতাংশ অ্যাকাউন্ট থেকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সহিংসতা উসকে দেয়া হচ্ছে। এতে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
২০১৬ সালে ইসরাইলি আইনমন্ত্রীর সঙ্গে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ একটি চুক্তি সই করে। সেখানে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় যে, ফিলিস্তিনিদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণ করা হবে।
ফিলিস্তিনের প্রয়াত নেতা ইয়াসির আরাফাতের একটি ছবি প্রকাশ করায় ২০১৭ সালের মার্চে ফেসবুক অল্পসময়ের জন্য ফাতাহ আন্দোলনের ফেসবুক পাতা বন্ধ করে রেখেছিল।
মিসক ইয়েক নামের রাজনৈতিক স্যাটায়ার করা ফেসবুক পাতা ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে। পাতাটি কয়েকবার বন্ধ করে দেয়ার পর আবার খুলে দেয়া হয়েছে।
পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী সাদা সোসালের সহপ্রতিষ্ঠাতা ইয়াদ আল রাফেই বলেন, ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলিদের মধ্যে ব্যাপক বৈষম্য করছে ফেসবুক। ইসরাইলিরা যখন ফিলিস্তিনিদের হত্যা আহ্বান জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন, তখন তাদের কিছুই হয় না। কিন্তু ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলি সেনাদের কোনো অন্যায়ের খবর দিলেই তাদের অ্যাকাউন্ট কিংবা পাতা বন্ধ করে দেয়া হয়।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

