নিজস্ব প্রতিবেদক:
একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেয়ার প্রাক্কালে বিদ্যুৎবিভ্রাটে পড়েন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। গতকাল সোমবার বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর আবাসিক মহিলা অনার্স কলেজের নবীনবরণের সময় তিনি এ বিভ্রাটে পড়েন। মঞ্চে বিদ্যুৎবিভ্রাটের এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে তিনি ওই অনুষ্ঠানেই বিদ্যুৎবিভাগের কর্মকর্তাদের প্রতি তির্যক ভাষায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
প্রতিমন্ত্রী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘একটি বিষয় লক্ষ্য করলাম বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর। তবে একটা বিষয় বুঝি না, যেখানেই যাই; প্রথমেই করে কী বিদ্যুৎ চলে যায়। এই বিষয়টি চিন্তা করে দেখলাম এখন কেন প্রায়ই অনুষ্ঠানেই বিদ্যুৎ চলে যায়। আমি গেলে কেন বিদ্যুৎ চলে যায় এটি বুঝতে পারলাম না! এটি বিদ্যুৎবিভাগের ইচ্ছাকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃত তাও জানি না। বিদ্যুৎবিভাগও চায় সবাইকে মনে করিয়ে দিতে প্রতিমন্ত্রী এখানে এসেছেন বোধহয় বিদ্যুৎ চলে গছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, স্যার ট্রান্সফরমার পুড়ে গেছে, এই সমস্যা সেই সমস্যা তাদের (বিদ্যুৎবিভাগের) দায় এড়ানোর কথা বলে থাকেন।’ ওই অনুষ্ঠানের সময় বিদ্যুৎবিভাগের কর্মকর্তাদের মধ্যে হইচই শুরু হয়। বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করেন বিদ্যুতের ব্যবস্থা সচল করতে। প্রতিমন্ত্রীর অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎ ছিলনা ২২ মিনিট। প্রতিমন্ত্রী বক্তব্য শুরুর কয়েক মিনিট আগে অর্থাৎ ৪টা ৪৪ মিনিটে বিদ্যুৎ চলে যায়। ২২ মিনিট পর ৫টা ৬ মিনিটে বিদ্যুৎ আসে। বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় জেনারেটরের মাধ্যমে বিকল্প ব্যবস্থায় প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
এব্যাপারে সখীপুর বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী জামানত আলী আকন্দ বলেন, ‘টাঙ্গাইল গ্রিডে সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে। কালিহাতী গ্রিডের সঙ্গে বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ এনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।’ সখীপুর আবাসিক মহিলা অনার্স কলেজের মেধাভিত্তিক ছাত্রী সংসদের আয়োজনে নবীনবরণ অনুষ্ঠানে স্থানীয় এমপি অনুপম শাহজাহান জয় সভাপতিত্ব করেন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি