বাংলাদেশি শ্রমিকদের ওপর ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কুয়েত। আবাসন পারমিট নিয়ে নীতি লঙ্ঘনকে এই নিষেধাজ্ঞার পেছনে বড় কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার কুয়েতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ খালিদ আল জারাহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই আদেশ জারি করেন এবং সেটা অনুসরণ করার জন্য আদেশ দেন।নিরাপত্তা বাহিনীর এক সূত্র জানায়, সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়ার প্রতি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর মানবপাচারকারীদের অনিয়ম ও নির্যাতনের পরিমাণ অবিশ্বাস্যভাবে বেড়ে যায়। একইসঙ্গে রেসিডেন্সি পারমিটও বেড়ে যায়।
নির্যাতন মূলত করা হয় গৃহকর্মীদের ওপর। কঠোর আইনের ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও গৃহকর্মীদের উপরে নির্যাতন বেশি হয়। আর এজন্যই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানানো হয় নিরাপত্তা সংস্থার কয়েকটি রিপোর্টে।
কুয়েত ১৯৭৬ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া শুরু করে। যা চালু ছিল ২০০৭ সাল পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে প্রায় চারলাখ ৮০ হাজার শ্রমিককে নিয়োগ দেয়া হয়।
পরবর্তীতে বিভিন্ন অনৈতিক কার্যক্রমের জন্য ২০০৭ সাল থেকে শ্রমিক নিয়োগ নেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কুয়েত। নিষেধাজ্ঞাটি ২০১৪ সাল পর্যন্ত বহাল ছিল। ওই বছরে আবার শ্রমিক নিয়োগ দেয়া শুরু হয়।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর