নিজস্ব প্রতিবেদক:
তৈরি পোশাকশিল্পে এবার বড় মাপে ভাগ বসাতে যাচ্ছে নারী পোশাক। বলা হচ্ছে, চলতি ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী ফ্যাশন মার্কেট দাপিয়ে বেড়াবে নারীদের পোশাক। সম্প্রতি এক গবেষণা জরিপে এ পূর্বাভাস দিয়েছে হংকংয়ের ট্রেড ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল (এইচকেটিডিসি)। হংকংভিত্তিক নির্মাতা, ব্যবসায়ী ও পরিষেবা প্রদানকারী আন্তর্জাতিক বিপণন সংস্থা এইচকেটিডিসি তাদের বার্ষিক জরিপে জানায়, নারীদের পোশাক বিক্রি বিগত বছরগুলোর তুলনায় চলতি বছর বেশি হবে।
এইচকেটিডিসি হংকংসহ চীনের বিভিন্ন শহরে ২০০ জন বায়ারের সাক্ষাৎকার গ্রহণ এবং প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া ৭০টি পোশাক ব্র্যান্ডের মধ্যে জরিপ চালায়। জরিপে বর্তমান বাজারের গতিবিধি, নতুন পণ্যের ট্রেন্ড ও ই-কমার্সের উন্নয়নের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। এইচকেটিডিসি জানায়, বায়ার ও এক্সিবিটর উভয় পক্ষেই পছন্দের শীর্ষে ছিল নারীদের পোশাক-পরিচ্ছদ। যা সর্বোচ্চ লাইক পেয়েছে। পোশাকের এই ধরনটি বায়ারদের লাইক পেয়েছে ৬৬ শতাংশ এবং এক্সিবিটরদের লাইক পেয়েছে ৮২ শতাংশ। এছাড়া ক্যাজুয়াল পোশাক দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। এই ধরনটি বায়ারদের ২৩ শতাংশ এবং এক্সিবিটরদের মাত্র ৩ শতাংশ লাইক পেয়েছে। বাজারের ক্ষেত্রে ২০১৮ সালে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনাময় বাজার হচ্ছে হংকং। ৯০ শতাংশ বায়ার হংকংকে সম্ভাবনাময় বলেছেন। এরপর রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ান।
ফ্যাশন ব্র্যান্ড প্রমোশন সংস্থাটি জানায়, ২০১৮ সালে পোশাক বিকিকিনি বেশ জমে যাবে। এ বছর উদীয়মান বাজার হিসেবে পছন্দের শীর্ষে চীন। জরিপে অংশ নেয়া ৭৫ শতাংশ মানুষ চীনকে পছন্দ করেছে। ৪৩ শতাংশ পছন্দ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থান করছে পশ্চিম ইউরোপের বাজার এবং এরপর রয়েছে আসিয়ানভুক্ত বাজার। জরিপে ৫৮ শতাংশ বায়ার বলেন, ২০১৮ সালে খুচরা বিক্রেতারা তাদের পণ্যের দাম বাড়াবেন না। তবে ৩৯ শতাংশ মনে করেন, খুচরা পর্যায়ে পোশাকের দাম বাড়তে পারে। সোর্সিং মূল্য ও উৎপাদন খরচ বাড়বে বলে মনে করেন ৫৫ শতাংশ বায়ার। ৪৪ শতাংশ মনে করেন অপরিবর্তিত থাকবে। অন্যদিনে মাত্র ১ শতাংশ বায়ার মনে করেন, এসব খরচ কমবে। অন্যদিকে এক্সিবিটরদের ২১ শতাংশ মনে করেন, উৎপাদন খরচ বাড়বে। ৭৯ শতাংশ মনে করেন, কিছুটা কমতেও পারে বা অপরিবর্তিত থাকবে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি