এম. শরীফ হোসাইন, ভোলা :
প্রতিবন্ধী মাকসুদ বয়ে বেড়াচ্ছেন পরিবারের ঘানি। কতদিন তিনি এ ঘানি বয়ে বেড়াবেন ? জীবন সংগ্রামে তিনি এখন কান্ত-পরিশ্রান্ত। কিন্তু কি করবেন, তারপরও বড়ে বেড়াতে হয় এ যুদ্ধ। কারণ পরিবারের একমাত্র তিনিই উপার্যনাক্ষম ব্যক্তি। প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে তিনি কোন কাজ-কর্ম করতে পারেন না। নিরুপায় হয়ে তিনি মানুষের কাছে হাত পেতে যা পান, তা দিয়েই কোন মতে চলে সংসার।
জীবন যুদ্ধে লড়ে যাওয়া প্রতিবন্ধী ব্যক্তিটি হলেন ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের মহিউদ্দিন হাওলাদার বাড়ীর বাসিন্দা জালাল আহমেদ ও চান ফুন নেছা বেগমের ছেলে মোঃ মাকসুদ আলম। বসয় আনুমানিক ৩৫ কি ৪০ হবে। জন্ম থেকেই তিনি থ্যালাসেনিয়া রোগ নিয়ে বয়ে চলছেন। প্রতি মাসেই রক্ত দিতে হয়। রক্ত দিলে ভালো থাকেন, না দিতে পারলে কিংবা একটু দেরী হলে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। আর এই রক্ত কিনতে তার অনেক অর্থ ব্যয় হচ্ছে। তিনি যখন অসুস্থ্য হয়ে পড়েন তখন পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অনেকটা উপোষ থাকতে হয়।
এছাড়া ২০ বছর পূর্বে তার একটি পা কেটে ফেলতে হয়েছে গ্যাংরিং হওয়ার কারণে। সেই থেকে তিনি প্রতিবন্ধী। তাই কোন-প্রকার ভারী কাজকর্ম করতে পারেন না। পরিবারের স্বচ্ছলতা নেই যে কোন প্রকার ব্যবসা-বাণিজ্য করবেন। তাই বাধ্য হয়ে মানুষের কাছেই হাত পাততে হচ্ছে। সারাদিন এখানে, ওখানে হাত পেতে যা পান তাই মাকসুদ আলমের সম্ভল। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং ৩ সন্তানের জনক। এদের মধ্যে ১ ছেলে ও দুই মেয়ে। সবাই পড়ালেখা করছে। বড় ছেলে ৮ম শ্রেণীতে এবং দুই মেয়ে কাস ফাইভে পড়ছে। তাদের পড়ালেখার খরচ এবং পরিবারের খরচ বহন করতে তিনি হিম-সীম খাচ্ছেন। দিন দিনই সকল খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই উপায়ন্তর না দেখে মাকসুদ সমাজে বিত্তবানদের সহযোগীতা কামনা করছেন। ০১৭৮২-৪০৫৩৬০ এই নম্বরে যোগাযোগ করে মাকসুদ আলমকে সহযোগীতা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ