নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাদকসেবন, মাদক ব্যবসা বা মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার মতো কোনো কাজে জড়ালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি থাকবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন মহাপরিচালক (ডিজি) মো. জামাল উদ্দীন আহমেদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কথা বলেন।
মহাপরিচালকের কাছে সাংবাদিকেরা জানতে চান, অধিদপ্তরের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী মাদকসেবন ও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ ব্যাপারে কী করছেন? জবাবে জামাল উদ্দীন বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ এলে এবং তদন্তে তা প্রমাণিত হলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি থাকবে না। এ ব্যাপারে সব সময়ই কঠোর ভূমিকা থাকবে। জামাল উদ্দীন বলেন, দেশে মোট কত মাদকসেবী আছে, সে সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য তাঁদের কাছে নেই। তবে ধারণা করা হয়, এই সংখ্যা ৫০ লাখ থেকে ৭০ লাখ হবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ-মিয়ানমার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে থাকা ৪৯টি ইয়াবা তৈরির কারখানার ঠিকানা দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস ও গোয়েন্দা) সৈয়দ তৌফিক উদ্দিন আহমেদের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, মাদকের সরবরাহ কমানোর জন্য মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। গত এক বছরে অধিদপ্তর ৩৯ হাজার ৫৮৫টি অভিযানে ১২ হাজার ৬৫১ জন মাদক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে। ১১ হাজার ৬১২টি মামলা দায়ের হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অধিদপ্তরের ৪টি নিরাময় কেন্দ্রে মোট ১৪ হাজার ৬৮৮ জনকে নিরাময় সেবা দেওয়া হয়েছে। দেশব্যাপী ২০৯টি বেসরকারি নিরাময় কেন্দ্রে মোট ১০ হাজার ৬৬৭ জনকে নিরাময় সেবা দিয়েছে। গত এক বছরে অধিদপ্তর ৭ হাজার ২৬১টি মাদকবিরোধী সভা-সমাবেশ করেছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি