মারুফ শরীফ:
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেছেন, সরকার খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। তাদের পাতা কোনো ফাঁদে পা দেবেন না বিএনপির আইনজীবীরা। একই সঙ্গে কোনো প্রকার প্রতিক্রিয়াও জানানো হবে না, কেবল সচেতন থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও ধৈর্য ধরবে বিএনপি ও তার সমর্থক আইনজীবীরা।
গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জয়নুল আবেদীন এসব কথা বলেন। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকনসহ বিএনপির জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। আইনজীবী সমিতির সভাপতি বলেন, খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আইনের শাসনে বিশ্বাসী। তাঁরা কোনো প্রকার বিভ্রান্তিতে কান না দিয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। সরকারের দেয়া উসকানিমূলক বক্তব্যের বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাবেন না।
জয়নুল আবেদীন বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই মামলার নথি তলব করে হাইকোর্ট আদেশ দেয়ার পর তা নিম্ন আদালত থেকে আসার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময়ই যথেষ্ট। তবে আমি আশা করি, আজই মামলার নথি হাইকোর্টে আসবে। যদি সথি না আসে বা আসতে দেরী হয়, তাহলে আমরা মনে করব, সরকার ইচ্ছে করেই নথি পাঠাতে বিলম্ব করছে।
দলের চেয়ারপারসনের এ আইনজীবী নেতা বলেন, দুদকের এ মামলা জামিনযোগ্য। এ মামলায় নথি আসার পর যে আদেশ দেয়ার কথা বলা হয়েছে, তা যৌক্তিক বলে আমরা মনে করি না। এরপরও আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাসী। আমরা আশা করি, আজকের মধ্যে নথি আদালতে পৌঁছাবে এবং চেয়ারপারসনের জামিন হবে।
এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদন্ডপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয় গত ২৫ ফেব্রæয়ারী। ওই দিন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মামলার নথি তলব করেন। বিচারিক নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্টে আসার পর জামিন বিষয়ে আদেশ দেবেন বলে ঘোষণা করেন।
এর আগে খালেদা জিয়া আপিল করলে হাইকোর্টের এ বেঞ্চ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালতের করা জরিমানা স্থগিত করেন আদালত। একই সঙ্গে ওই দিন থেকে ১৫ দিনের মধ্যে মামলার রায়ের নথি হাইকোর্টে পাঠাতে সংশ্লীষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর