দৈনিক দেশজনতা অনলাইন ডেস্ক:
মিশরে দু’হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো এক প্রাচীন ‘নেক্রোপলিস’ বা সমাধিক্ষেত্রের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেছেন প্রত্নতত্ববিদরা। এখানে পাওয়া গেছে বহু মমি, পাথরের তৈরি শবাধার ও অন্যান্য সামগ্রী, এবং একটি গলার হার -বলা হচ্ছে ‘এটি হলো মৃত্যুর পরের জীবন থেকে পাঠানো বার্তা।’
কায়রোর দক্ষিণে মিনিয়া শহরের কাছে এই পুরো প্রত্নস্থানটি এতই বড় যে তা পুরোপুরি খনন করতে পাঁচ বছর লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রত্নতাত্বিক মিশনের প্রধান মোস্তাফা ওয়াজিরি বলেন – আটটি সমাধিসৌধ পাওয়া গেছে গত তিন মাসে, আশা করা হচ্ছে আরো পাওয়া যাবে। এগুলো মিশরের প্রাচীন দেবতা থথ-এর পুরোহিতদের বলে ধারণা করা হচ্ছে।
একটি নেকলেস পাওয়া গেছে যাতে প্রাচীন মিশরীয় লিপি হিয়েরোগ্লিফিক্স-এ লেখা আছে ‘শুভ নববর্ষ’। ওয়াজিরি বলেন, এটি হচ্ছে ‘মৃত্যুর পরের জীবন থেকে পাঠানো বার্তা।’ মিশরের প্রাচীন নিদর্শন বিষয়ক মন্ত্রী খালেদ আল-ইনামি বলছেন, এতে পাওয়া গেছে সোনার মুখোশ, মৃৎপাত্র, গয়না, এবং পাথরের শবাধার। তিনি বলেন, এখানে যে কবরগুলো পাওয়া গেছে তা আনুমানিক ৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের সময়কালের।”এটা একটা শুরু মাত্র।আমরা খুব শিগগীরই মিশরের মধ্যাঞ্চলে আরো একটি প্রত্নতাত্বিক আকর্ষণ যোগ করতে যাচ্ছি” – বলেন তিনি।
কয়েকটি পাত্র পাওয়া গেছে যাতে লাশের ভেতরের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ মমি করে রাখা আছে। ওপরে লেখা আছে তাদের নাম ও পদ। এগুলো দেখতে হোরাস নামে এক প্রাচীন দেবতার চার পুত্রের মুখের মতো। এ মাসেই মিশরে ৪ হাজার বছরের পুরোনো এক সমাধি সৌধ আবিষ্কার করা হয়, যা একজন মহিলা পুরোহিতের বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর দেয়ালে হেলপেট নামে ওই পুরোহিতের একাধিক ছবি আঁকা ছিল।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি