আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
নাইজেরিয়া নিখোঁজ ১১০ স্কুলছাত্রীর খোঁজে অতিরিক্ত সৈন্য নিয়োজিত করা হয়েছে। প্রায় এক সপ্তাহ হতে চলেছে, তবু সন্তানের খোঁজ না মেলায় অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। খবর বিবিসির।
বোকো হারাম জঙ্গিদের হাতে তারা অপহৃত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উত্তর পশ্চিমের ইয়োবে স্টেটের ডাপচি এলাকায় একটি স্কুলে ১৯ ফেব্রুয়ারি হামলা চালিয়ে বোকো হারাম জিহাদিরা তছনছ করার পর থেকে এই কিশোরীরা নিখোঁজ। প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ বুহারি এই ঘটনাকে ‘জাতীয় দুর্যোগ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। সেইসঙ্গে নিখোঁজ মেয়েদের পরিবারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
ঘটনার পরপরই এইসব মেয়েদের অপহরণের খবর অস্বীকার করেছিল কর্তৃপক্ষ এবং তাদের বক্তব্য ছিল, হামলাকারীদের হাত থেকে বাঁচতে তারা আত্মগোপন করেছে। তবে পরে তারা স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয় যে, ১১০ জন মেয়ের কোনও খোঁজ নেই। তার ওপর গত মাসে ডাপচি এলাকার গুরুত্বপূর্ণ চেকপয়েন্ট থেকে সৈন্যদের সরিয়ে নেয়া হয়েছিল এমন খবরে মেয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
দেশটির উত্তরাঞ্চলে বোকো হারাম জঙ্গিরা সেখানে ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে আসছে। প্রায় চার বছর আগে তারা ২৭৬ জন মেয়েকে চিবুকের একটি স্কুল থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। যে ঘটনার পর ‘আমাদের মেয়েদের ফিরিয়ে দাও’ এই দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে ক্যাম্পেইন জোরালো হয়।
সেইসময় নিখোঁজ হওয়া মেয়েদের মধ্যে শতাধিক মেয়ে কোথায় আছে, কিভাবে আছে তার খবর এখনো অজানা। বোকো হামার গোষ্ঠীর সাথে এই সংঘাতে দশ হাজারের মত মানুষ নিহত হয়েছে আর অপহরণের শিকার হয়েছেন কয়েক হাজার।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ