আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের উপর জাতিগত নিধন অভিযান চলানোর সময় মিয়ানমারে যেসব গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিল, সেসব আলামত বুলডোজার দিয়ে মাটিতে মিশিয়ে দেয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) শুক্রবার এক প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যাচ্ছে- মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ দেশটির রোহিঙ্গা মুসলিমদের পোড়া বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে।
এইচআরডব্লিউ বলেছে, ২০১৭ সালের শেষ থেকে কমপক্ষে ৫৫টি গ্রাম মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক লোকদের নিধনযজ্ঞ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছিল। এইচআরডইব্লিউ এশিয়ার পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ চাইছে সহিংসতার চিহ্ন মুছে ফেলতে। রোহিঙ্গাদের জমি দখল করতে চাইছে। কবর, হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র বা অপরাধীদের চিহ্নিত করা যায় এমন যেকোনো আলামত খুঁজে বের করা আরও কঠিন করে তুলতে চাইছে তারা।’
তিনি বলেন, ‘এটা বার্মার কর্তৃপক্ষের জাতিগত নিধন মানসিকতার পরিচায়ক।’ অ্যাডামস বলেন, বিচ্ছিন্নভাবে পাওয়া কিছু স্যাটেলাইট ছবিতে কেবল সেখানকার আংশিক চিত্র পাওয়া গেছে। পুরো পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে। মুসলিম রোহিঙ্গাদেরকে নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকার করে আসছিল মিয়ানমার। তারা সেখানে বহু বছর ধরে বসবাস করলেও দেশটির সরকার রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ‘অবৈধ অভিবাসী’ বলে অভিহিত করছিল। মিয়ানমারের বৌদ্ধরা প্রায়ই রোহিঙ্গাদের প্রতি সহিংস আচরণ করে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ