অনলাইন ডেস্ক:
পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান বিতর্কিত কাশ্মিরের সিয়াচেন হিমবাহের উপর দিয়ে চক্কর দেয়ার দাবি করেছে। দেশটির বিমানবাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে।
পাকিস্তান সংবাদমাধ্যমের দাবি, একটি পাক যুদ্ধবিমান বুধবার সকালে সিয়াচেনে অবতরণ করেছিল। একইসঙ্গে সেখানের অপারেটিং বেস পরিদর্শন করা হয়। পাকিস্তান বিমানবাহিনীর চিফ এয়ার মার্শাল সোহেল আমান এই এয়ারবেস পরিদর্শনে এসেছিলেন বলে খবর। সেখানে বিমানের পাইলট এবং প্রযুক্তি কর্মীদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন বলে খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
বুধবার পাকিস্তানের এয়ার চিফ মার্শাল সোহেল আমন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, শত্রুর সব রকম আগ্রাসী পদক্ষেপের যোগ্য জবাব দেবে তার বাহিনী যা মনে রাখবে আগামী প্রজন্ম। সিয়াচেন লাগোয়া স্কারডুর কাদ্রি বিমানঘাঁটিতে বাহিনীর অনুশীলন পরিদর্শন করেন আমন। নিজের বাহিনীকে পুরোপুরি তৈরি থাকতে বলে আমান বলেন, পাকিস্তান শান্তিপ্রিয় দেশ। শত্রুর কোনো রকম বিবৃতিতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই পাক সরকারের। কারণ, তার বাহিনী সম্পূর্ণ তৈরি আছে। এদিন প্রতিটি বিমানঘাঁটি সক্রিয় করে ফেলেছে পাকিস্তান।
সম্প্রতি ভারতীয় বিমানবাহিনী প্রধান বি এস ধানোয়া তার বাহিনীকে বলেছিলেন দ্রুত কাজে যোগ দেয়ার জন্য সবাইকে তৈরি থাকতে। কারণ দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ যেভাবে চড়ছে তাতে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে সবাই যেন প্রস্তুত থাকে। তার পাল্টা হিসেবেই পাক এয়ার চিফ মার্শালের এই বার্তা বলে মনে করছে কূটনীতিকরা।
এই খবরে ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন না হলেও সীমান্তে বিএসএফ ও বিমানবাহিনীকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিয়াচেন জায়গাটি হিমালয় পর্বতমালার পূর্বদিকে কারাকোরাম রেঞ্জে অবস্থিত। এখানেই ভারত–পাকিস্তানের সীমান্তের শেষ প্রান্ত। মঙ্গলবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নৌসেরা সেক্টরে পাক সেনা চৌকি ধ্বংসের কথা স্বীকার ও ভিডিও প্রকাশ করা হলে পাল্টা আঘাত হানতেই এই তৎপরতা বলে মনে করছে ভারতের বিমানবাহিনী কর্তৃপক্ষ।
নওশেরা সেক্টরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাক সেনা চৌকি ধ্বংসের কথা অস্বীকার করেছিল পাকিস্তান।
দৈনিক দেশজনতা/এমএম