নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিংয়ের এক খন্ড-কালীন শিক্ষককে ‘চতুর্থ তলা থেকে ফেলে’ দেয়ার হুমকি দিয়েছেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার হাসান মাহমুদ।
সোমবার এ ঘটনার পর ভূক্তভোগী শিক্ষক মো. মুনির মাহমুদ উপাচার্য বরাবর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, আমি মো. মুনির মাহমুদ, ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিং এর একজন শিক্ষক। ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে দশটায় ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ থেকে বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক মো. শাহেদুর রশিদের নির্দেশনায় ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিংয়ের পূর্বে তালাবদ্ধ কক্ষের তালা ভাঙার জন্য বিভাগের স্টাফরা আসেন। আমি তাদেরকে ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিংয়ের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে তারপর তালা ভাঙার অনুরোধ করি। পরবর্তীতে সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার হাসান মাহমুদ বিভাগটির স্টাফদের তালা না ভাঙতে অনুরোধ করাতে আামাকে ফোন দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং চতুর্থ তলা থেকে ফেলে জীবননাশের হুমকি দেন। আমি বিষয়টি ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিংয়ের পরিচালককে অবগত করেছি। এমতাবস্থায় আমি এবং আমার সহকর্মীরা অনিরাপদ বোধ করছি। আমি উপাচার্যের কাছে আমার জীবননাশের হুমকির বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করছি।
এ ঘটনায় খন্দকার হাসান মাহমুদ বলেন, আমি তাকে চার তলা থেকে ফেলে দেব বলেছি। তাই বলে কি ফেলে দেব নাকি। সে তো আমার বিভাগের ছাত্র ছিল। আমরা তো ছাত্রদের প্রতিদিনই বকাঝকা করি।
ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিংয়ের পরিচালক অধ্যাপক শেখ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মুনির আমাদের খন্ডকালীন শিক্ষক। আর উনি শিক্ষক হোন আর নাই হোন, ছাত্র হলেও তো কাউকে এভাবে হুমকি দেয়া যায় না।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ